সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় ফেসবুকের নতুন পদক্ষেপ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৬২ Time View

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই এবারের আর্থ ডে-তে ফেসবুক তার বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

সম্প্রতি ইয়েল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট কমিউনিকেশনের সঙ্গে ফেসবুকের এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের ৩০টি দেশের তিন-চতুর্থাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতি ১০ জনে ৭ জন মানুষ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সমর্থন করেন।

বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গত তিন মাসে ১১ লাখের বেশি মানুষ ফেসবুকে পরিবেশ রক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের আলোচনার প্রধান তিনটি বিষয় হচ্ছে টেকসই ও স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপন ও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ।

প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন এবং নানা ধরনের প্রতিরক্ষা মূলক কাজেও অংশ নিচ্ছেন। পরিবেশ বিষয়ক ৬ হাজার ফেসবুক গ্রুপে অন্তত ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি সদস্য রয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিকের ইমার্জিং মার্কেটের ফেসবুক পরিচালক জোরডি ফোরনিস বলেন, ‘বাংলাদেশিরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করছেন এবং আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারছেন, এতে আমি অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বোধ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের তাগিদটা আমরা বুঝি। এই সংকট মোকাবিলায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বলা দরকার, আমাদের দাপ্তারিক কার্যক্রম এখন শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি-নির্ভর। শুধু তাই নয়, ফেসবুক এখন বিশ্ব বাজারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম বৃহৎ করপোরেট ক্রেতা।’

এই পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মানুষের অবস্থান নেয়ার কাজটা সহজ করতে ‘গ্রিনপ্রিন্ট কনজ্যুমার গাইড’ এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর জন্য স্টিকার প্যাক ‘স্ট্যান্ড আপ ফর আর্থ’ শীর্ষক নিয়ে আসছে ফেসবুক। এই স্টিকার প্যাকে বেশ কিছু পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে এবং বেশ কিছু কাজে উৎসাহিত করা হয়েছে, যেমন রিসাইক্লিং এবং বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার হ্রাস। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে বেশ কিছু ওয়ালপেপার ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে।

‘দ্য ফেসবুক গ্রিনপ্রিন্ট’ এক ধরনের ডিজিটাল গাইড। এতে ১৫ টি সহজ ধাপ আছে, যার সাহায্যে মানুষ পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে। যেমন, স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশগত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠনে দান করা, বা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নীতিশুদ্ধ কেনাকাটা করা। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ফেসবুক অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এই বিষয়ে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাজ করে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin