এ কেমন কাল, হায়রে কপাল!
সবকিছুই উল্টারে,
শুদ্ধ হলে, বাঁকল তুলে
আনছি টেনে ভুলটারে।
নাচছে সবাই, খাচ্ছে সবাই
হুজুগ রেলে চলছেরে,
দেখছে চোখে, শুঁকছে নাকে
উটা পাল্টা বলছেরে।
সব দুরাচার- নাইযে বিচার
বুক ফুলিয়ে যাচ্ছে সে,
বুঝছেনা সার, দেখছেনা আর-
কার ঘুষিটা খাচ্ছে কে।
সব ইতিহাস হচ্ছে বিনাশ
বুদ্ধিজীবির বুদ্ধিতে,
বলছে- যা তা, ঘুরছে মাথা !
ধরছে গুড়া সিন্ধিতে।
উল্টা পাল্টা লাগছে মলাট
কার ভিতরে কোন্টারে,
দেখছি সাদায়- শক্ত বাঁধাই
যায়না ধরা মনটারে।
ফুলের মালা “ভরছে গলা”
মরছে লজ্জা শরমে,
গন্ধ পঁচা- মারছে খোঁচা
উঠচে ফুলে “চরমে”।
যায়না ধরা বাঁধন হারা-
নীতির ঘোড়া ছুটছেরে,
আঁধার ঘরে হৈ হুল্লোড়ে
যে যা পারে- লুটছেরে।
ধর্ম কথা- মর্ম ব্যাথা,
ব্যাথার চোটে নাচছেরে,
নামাজ রোজা, শুধুই বোঝা
“বিষের বাঁশি বাজছেরে”।
নগ্ন পুরে মধুর সুরে
কড়া নারে হুর- পরী,
নাই কোন হুঁশ “মাতাল বেহুঁশ “
ভক্ত মনে- ফুরফুরে।
সিংহ মামা চাইছে ক্ষমা
বংশেনা আর জঙ্গলে,
হিংস্র থাবা- ধ্বংসে কাবা
বিংশ যুগের মঙ্গলে।
সব অপরাধ খুলছে বরাত
দুলছে দোলা “সেল্টারে”
চলছে সালিশ “ নরম বালিশ”
খাছে শুধু মুলটারে।
যুগের মাথা বইছে ছাতা
অটো পরিবর্তনে,
কালের রসে চাটছি বসে
মাতাল কালের কীর্তনে।