স্তন্যদান নিয়ে মায়েরা এখন সচেতন হতে শুরু করেছেন। সেই সতেরো শতকে সর্বপ্রথম অভিজাত সমাজে নারীর স্তন্যপান বিষয়ক ধারণায় রদবদল হতে শুরু করে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসকরা মায়েদের স্তন্যদানের পরামর্শ দেন। এমনকি বিভিন্ন ফোরামে স্তন্যদান বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক লেখা আছে। ১৯৯২ সাল থেকেই ব্রেস্টফিডিং সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।
স্তন্যদানের ক্ষেত্রে অনেক নারীদেরই নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে একে প্রাকৃতিকভাবেই সমস্যা ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং সাংস্কৃতিকভাবে একে অনেকে বদলে দিতে শুরু করেছে। স্তন্যদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চলুন জেনে নেই।
স্তন্যপান করানো সম্পর্কে ধারণার বদল
পনেরো শতকে রাজপরিবারের রানীদের বা বধূদের অনেক আদব কায়দা মেনে চলতে হতো। তাদের সন্তান জন্মদানের পর সন্তানের জন্যে একজন মেইড নিয়োগ দেওয়া হতো। সতেরো শতক থেকেই অভিজাত সমাজেও এই ধারণার প্রচলন হতে শুরু করে।
তাই স্তন্যদানের সমস্যাগুলো সামাজিকভাবে একটি ধারণা হিসেবে রুপ লাভ করে। শুধুমাত্র দরিদ্র নারীদেরই না পেরে স্তন্যপান করাতে হচ্ছে এমন ধারণাও ছিলো অনেকের। ব্যাপারটাও আদৌ এমন না। এটি সামান্য একটি সামাজিক ধারণা মাত্র। মাতৃত্বকালীন সময়ে নানা সমস্যা হতে পারে। সেগুলো প্রতিকার বা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
স্তন্যপানের গুরুত্ব
অক্সিটোসিন এবং শিশুর সাথে বন্ধন: ব্রেস্টফিডিং এর সময় অক্সিটোসিন নির্গত হয়। অনেকে একে লাভ হরমোন বলেন। এই হরমোন স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। সন্তান জন্ম নেয়ার পর স্ট্রেসে থাকে। মায়ের ক্ষেত্রেও তা সত্য। তাই অক্সিটোসিন নির্গত হলে মা ও শিশু দুজনেই স্ট্রেস মুক্ত হতে পারে। এতে দুজনের মধ্যে বন্ধন ও ভালো হয়। ব্রেস্ট ফিডিং এর সময় দুজনের স্কিন টু স্কিন কন্টাক্ট মা ও সন্তানের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে।
অক্সিটোসিন নিঃসরণের ফলে আর যে যে উপকার পাওয়া যায়