মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

এবার অবিবাহিত নারীরা পাচ্ছেন সাতদিন ‘প্রে’ম করার ছুটি’।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
  • ৩০৭ Time View

নারীদের বয়স তিরিশের কাছাকাছি হলে যদি বিয়ে না করে থাকেন তাহলে ‘বাদপড়া মেয়ে’ হিসেবে গণ্য করা হয়। চীনের এই সংস্কৃতির কারণে অনেক নারীই তিরিশের আগে বিয়ে করতে চান।তিরিশে কাছাকাছি বয়স হয়েছে। কিন্তু এখনো জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেননি, এমন নারীদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে দেশটির বেসরকারি

প্রতিষ্ঠান। নির্দিষ্ট ছুটির বাইরে ‘ডিটিং লিভ’ (প্রেম করার ছুটি) হিসেবে অতিরিক্ত সাত দিন ছুটি দিচ্ছে চীনের পূর্বাঞ্চলের হাংঝুর কয়েক কোম্পানি। নতুন চন্দ্র বছর উদযাপন করতে ইতিমধ্যে দেশটিতে কোটি কোটি মানুষ ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আট দিনের ওই ছুটির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো আরো সাতদিন প্রেম করার

ছুটির ঘোষণা দিয়েছেন।এই সুযোগ পাবেন কেবল মাত্র তিরিশের কোঠার অবিবাহিত নারীরা। এর উদ্দেশ্য, তারা যেন তাদের জীবন সঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন।তবে এর আগে খবর বেরিয়েছিল, ওই শহরেই অবিবাহিত স্কুল শিক্ষিকাদেরও একই ধরনের ‘লাভ লিভ’ দেয়া হচ্ছিল। চীনের মেয়েরা কাজের বেশি মনোযোগী হওয়ায় জন্মহারে প্রভাব পড়ছে।

আশঙ্কাজনকহারে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে চীন সরকারও সন্তান নিতে নারীদের উৎসাহিত করছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি
রাবেয়া আক্তার সাখী নোয়াখালী সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন। তার জন্ম ২০ আগস্ট ঢাকায়।
বাবা জয়নাল আবেদীন, মা ফেরদৌসী বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ করেছেন। সম্প্রতি নিজের

স্বপ্ন ও সফলতা নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাহিদ হাসান— আপনার শৈশব-কৈশোর কেমন কেটেছে রাবেয়া আক্তার সাখী: ছেলেবেলা খুব সুন্দর ও আনন্দময় কেটেছে। উচ্ছ্বল ও দুরন্ত স্বভাবের ছেলেবেলা সবাই বার বার ফিরে পেতে চায়। আমার শৈশবের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে চট্টগ্রামে। প্রথম স্কুলযাত্রাও

শুরু হয় এ শহরের ছায়াতলে। তাই চট্টগ্রাম শহরটার প্রতি আমার অন্যরকম দুর্বলতা কাজ করে। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনা করেছি মনে আনন্দ নিয়ে। কোনরকম প্রেসার বা চাপ মনে করিনি। পড়াশোনায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল কি? রাবেয়া আক্তার সাখী: পড়াশোনায় তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল, আমরা দুই

বোন পড়াশোনা করে নিজেদের এমন জায়গায় নিয়ে যাবো; যেখানে পরনির্ভরশীলতা বলে কোন শব্দ থাকবে না। নিজস্ব পরিচয় থাকবে, যেন বাবা-মা গর্ব করতে পারে। আমার বড় বোন এখন গাইনি চিকিৎসক আর আমি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার। বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে? রাবেয়া আক্তার সাখী: সত্যি বলতে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বিসিএস নিয়ে কোন স্বপ্ন ছিল না। লক্ষ্য ছিল বিবিএ আর এমবিএতে একটা ভালো সিজিপিএ ধরে রাখার। বিবিএতে (ব্যবস্থাপনা) ৩.৫৫ এবং এমবিএতে (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) ৩.৭৩ ছিল। চাকরির দুনিয়ায় পা রাখার পর বিসিএসের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। তখন থেকেই বিসিএসের স্বপ্ন দেখা শুরু করি।

বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাইরাবেয়া আক্তার সাখী: বিসিএস যাত্রা শুরু হয় হঠাৎ করেই। এমবিএ শেষ করার পর একদিন হঠাৎ আমার চাচা-ই প্রথম বলেছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে—মা, তুমি বিসিএস ক্যাডার হও’। এরপর বাবাও একদিন বললেন, বাবাও চায় আমি যাতে ক্যাডার হই। সাথে ছিল আমার নিজের স্বপ্ন পূরণের নেশা। বিসিএস যাত্রার

শুরুটা বেশ কষ্টসাধ্য মনে হতো। এতো বড় সিলেবাস, যার শুরু আছে কিন্তু শেষ বলে কিছু নেই। কিন্তু যখন প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য ভান্ডারে প্রবেশ করতাম আর নতুন সব তথ্য জানার সুযোগ পেতাম; তখন বিসিএস পড়াশোনা আত্মতৃপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজেকে গতকালের চেয়ে বেশি জ্ঞানী মনে হতো। রুটিন করে টার্গেট

নিয়ে পড়াশোনা করতাম। কোন বিষয় কোন দিন পড়বো বা কতদিনের মধ্যে শেষ করবো। তবে হ্যাঁ, মজার বিষয় ভেবে জানার জন্য প্রতিটি বিষয় পড়তাম।যারা ক্যাডার হতে চান, তাদের উদ্দেশে পরামর্শ রাবেয়া আক্তার সাখী: এ ক্ষেত্রে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি- পরিশ্রম, ধৈর্য, সাধনা এবং মেধার সমন্বয়ে বেরিয়ে আসে

এক একজন বিসিএস ক্যাডার। তাই শব্দগুলোর তাৎপর্য ধারণ ও বহন করতে হবে। পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। যত বেশি আত্মতৃপ্তি নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে, আত্মবিশ্বাস তত গুণ বেড়ে যাবে। আত্নবিশ্বাসী ব্যক্তির সাফল্য অনেকাংশেই নিশ্চিত থাকে। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি পড়াশোনায় কৌশল প্রয়োগ দক্ষতাও সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে

আনে। ইংরেজি গ্রামার, বাংলা ব্যাকরণ, গণিত, বিজ্ঞানে বেসিক ইম্প্রুভ করতে হবে। বেসিক ভালো হলে কোন প্রশ্নেই পরীক্ষার্থীকে আটকানো যায় না। সাম্প্রতিক খোঁজ-খবর এবং রিটেনে স্ট্যান্ডার্ড প্যাটার্নে লেখার জন্য যে কোন ইংরেজি এবং বাংলা পত্রিকা পড়ার অভ্যাস প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে। বিসিএসের ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার পরও

পরীক্ষার দিনের সময়ের মূল্যায়ন করতে পারার দক্ষতার উপরও ক্যাডার হওয়া নির্ভর করে। সবশেষে বলবো, স্বপ্ন শুধু দেখার জন্য নয়। নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে জয়ের চেষ্টা করা। চেষ্টায় কোন ত্রুটি না থাকলে স্বপ্ন জয় অবশ্যই হবে। কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি? রাবেয়া আক্তার সাখী: অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার বাবা,

মা, চাচাসহ কাছের কিছু বন্ধু-বান্ধবীর কাছ থেকে। তবে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি নিজের ইচ্ছাশক্তি থেকে। ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তিই পারে ক্যারিয়ারে সফলতা বয়ে আনতে। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি রাবেয়া আক্তার সাখী: আপাতত একজন যোগ্য শিক্ষক হতে চাই এবং সুশিক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তুলে দেওয়ার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে চাই। বর্তমান কর্মদক্ষতা এবং কর্মস্পৃহাই নির্ধারণ করে নেবে আমার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin