মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

সহজে সুখী হওয়ার ৫ কৌ’শল।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
  • ৩২৩ Time View

সুখী হতে কে না চায়। সুখের জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ যুদ্ধ করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালন করা হবে বুধবার। বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা হয়।তবে শুধু দিবস পালন করাই নয়।আপনি যদি সত্যি সুখী হতে চান তবে কিছু কৌশল রয়েছে।আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।আর আন্তর্জাতিক সুখী দিবসের অনুভূতি

আপনার কাছে পুরোপুরি মনে না হলেও কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি সুখী হতে পারবেন।অনেকে অল্প পেয়ে সুখী আবার অনেকে অনেক কিছুতেও সুখী নয়। সুখ নিজের কাছে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার নিজের মধ্যে সুখ লালন করে। মনের সুখ বড় সুখ। অনেকে মনের সুখে নিজে গান গেয়ে অন্যদের অনন্দ দেন।আবার সংগীত বা ক্রীড়া চর্চা

করেন তা তাদের মনের সুখ। অনেক ঘুরে বেড়ান মনের সুখে। কেউ খেয়ে সুখ পান আবার অনেকে মানুষকে দিয়ে সুখ পান। সুখের ব্যাখ্যা একেক মানুষের কাছে একেক রকম। সুখ নাকি অভ্যাসগত এমনই বলেছেন লুরি সান্তোস। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার একজন অধ্যাপক।তিনি বলেন, সুখী হওয়া নাকি কোনো ব্যাপার নয়। এটা

আপনাকে অভ্যাস করতে হবে। তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন যে, কীভাবে খারাপ লাগা বা দুঃখের বিষয়গুলোকে ভুলে যেতে হবে। আসুন জেনে নেই সুখী হওয়ার ৫ কৌশল। প্রাপ্তির তালিকা করুন মানুষের জীবনে প্রাপ্তির বা অপ্রাপ্তির দুটো থাকবে। পেছনের কথা ভেবে সময় নষ্ট না করে জীবনের প্রাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জানানো এবং কৃতজ্ঞ

হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সান্তোস। তিনি এমন একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলেছেন যেখানে প্রতিদিন রাতে একবার বা অন্তত সপ্তাহে একবার নিজের অর্জনগুলো লিখে রাখুন। এটা সুখী হওয়ার একটা কৌশল। বেশি ঘুমিয়ে ভালো থাকুন একজন মানুষের নিয়মিত পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেয়া জরুরি। বিশ্রাম নিলে মন ভালো থাকে। প্রতি রাতে

অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো, এবং সেটা হতে হবে সপ্তাহের সাতটি রাতেই।এটি সুখ হওয়ার ভালো কৌশল বলে মনে করেন লুরি সান্তোস। ধ্যান করুন ধ্যান করা সুখী হওয়ার ভালো লক্ষণ। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র ঘরের কোণে নীরবে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। এটি সপ্তাহের প্রতিটি দিন করতে হবে। সান্তোস বলেন, তিনি যখন

শিক্ষার্থী ছিলেন তখন নিয়মিত ধ্যান করতেন।নিয়মিত ধ্যান তার ভেতর ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করত।
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো জীবনে সুখী হতে চাইলে ভালোবাসার মানুষ, প্রিয়জন ও পরিবারের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। এত মনকে প্রফুল্ল থাকবে। সাম্প্রতিক বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, পরিবার ও

বন্ধুদের সঙ্গে চমৎকার সময় কাটালে তা মনকে প্রফুল্ল বা সুখী করে তোলে। সামাজিক মাধ্যম নয়, সরাসরি দেখা করুন ফেসবুক, টুইটার, ইমেইলসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে আমার সাধারণত বেশি যোগাযোগ করি। ফোনকে দূরে রেখে শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ মনোবিজ্ঞানী লুরি সান্তোস। যদি জীবনে সত্যিই সুখী হতে চান তাহলে

প্রাপ্তির হিসাব দিয়ে দিন শুরু করুন ও রাতে ভালো ঘুম দিন। এছাড়া প্রিয়জনদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান।
যেসব রোগের ওষুধ খেজুর খেজুর খুবই পুষ্টিকর ফল। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই

পূরণ করে। তাই প্রতিদিন খেতে পারেন খেজুর। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে।এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
খেজুরের পুষ্টিগুণ সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার

পরিমাণ বাড়ায়।খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই

শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আনন্দবাজারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে খেজুর খাওয়ার উপকারিতার কথা। আসুন জেনে নেই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা। ১. ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত খেজুর খেলে ১ বা ২টি খেতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের

পাশাপাশি মিষ্টির বিকল্প হতে পারে খেজুর। মূল খাবার নয়। বেশি মাত্রায় খেজুর খেলে ক্ষতিও হতে পারে।
২. খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর। ৩. খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায়

খেজুর থেকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৪. মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। ৫. খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে।

আঁশের জোগানও যথেষ্ট। ৬. রক্তস্বল্পতার রোগীরা খেজুর খেতে পারেন।একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর। ৭. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin