মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন

ছেলেরা কেন বেশি বয়সী মেয়েদের পছ’ন্দ করে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
  • ৩২৬ Time View

অনেকের কাছেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়স বিশেষ কোনো গুরুত্ব পায় না। তাই তো এখন যেকোনো বয়সের পুরুষ যেকোনো বয়সের নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। আমাদের সমাজে বহু বছর আগে নিয়ম ছিল যে, সম্পর্কে নারীকে সব সময় পুরুষের থেকে কম বয়সী হতে হবে। কিন্তু এখন সময় ও সমাজ বদলেছে।

এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিকতাও বদলেছে। তাই এখন অনেক সময়েই দেখা যায় কোনো কোনো সম্পর্কে নারীরা পুরুষের থেকে বেশি বয়সের হয়। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, অনেক ছেলেই তার বয়সের তুলনায় বেশি বয়সের মেয়েদের প্রতি তুমুল আকর্ষণ অনুভব করেন। এক গবেষণায় এর পাঁচটি কারণ পাওয়া গেছে। এ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-

* ছেলেদের নিজের তুলনায় বেশি বয়সের মেয়েদের প্রতি আর্কষণ বা সম্পর্ক তৈরির কারণ হিসেবে জানা যায়, ‘কথোপকথন’। এই প্রসঙ্গে অনেক পুরুষই স্বীকার করছেন যে, বেশি বয়সের মেয়েরা যেহেতু জীবনটাকে বেশিদিন দেখেছেন, তাই তাদের জীবন সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাদের কথার্বাতাও অনেক বেশি যুক্তিপূর্ণ ও পরিপক্ক হয়। মূলত এ কারণেই ছেলেরা বেশি বয়সের মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী হন।

* টিনএজার বা কমবয়সী অনেক মেয়েদের মধ্যে গসিপের একটা মারাত্মক প্রবণতা থাকে। তারা সমস্ত বিষয় নিয়েই গসিপ করতে ভালোবাসে। কিন্তু বয়স একটু বেশি হলে সেই প্রবণতা কেটে যায়। ছেলেরা গসিপ করা মেয়েদের খুব একটা পছন্দ করে না। তারা বাস্তববাদী মেয়ে পছন্দ করেন। যারা জীবন নিয়ে সচেতন থাকবে এমন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার জন্যই বয়সে বড় মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ছেলেরা।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে। পুরুষরা আত্মবিশ্বাসী মেয়ে পছন্দ করেন। যাদের নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে কোনো রকম দ্বিধাবোধ হবে না, এমন মেয়ে পছন্দ হওয়ার কারণেই তারা বেশি বয়সী মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হন।

* বেশি বয়সের নারীদের সঙ্গে বোঝাপড়াটা অনেক বেশি ভালো হয় পুরুষদের। তারা অনেক বেশি বাস্তববাদী হন। তাই কোথাও বেড়াতে বা ঘুরতে গেলে খরচ ছেলেটির একার ওপর দিয়ে যায় না। মেয়েটিরও টাকা খরচ করার মানসিকতা তৈরি হয়। দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়াও এর একটা বড় কারণ।

* কোন জায়গায় কেমন ব্যবহার করা উচিত কিংবা কোন জায়গায় কেমন পোশাক পরা উচিত, তা একটি টিনএজ মেয়ের থেকে বেশি বয়সের মেয়েরা ভালো বোঝেন। সঙ্গীকে কোনো পাবলিক প্লেসে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে গেলে এই বিষয়গুলো ছেলেদের ভাবায়। তাই তারা সেই সমস্ত জায়গায় বেশি বয়সের মেয়েদের নিয়ে যেতেই পছন্দ করেন।

স্বাধীনতা: সাধারণত অধিকাংশ মধ্য বয়স্ক নারী কোন ভনিতা ছাড়াই খুশি হন। একজন পুরুষকে তাঁর গড়েপিঠে নেওয়ার দরকার পড়ে না। তিনি কখনওই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেওয়ার মানসিকতা রাখেন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।

অভিজ্ঞতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। এটা কিভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগতাড়িত হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সঙ্গে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।

আত্মবিশ্বাস: একজন মধ্যবয়স্কা নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনওই সন্ত্রস্ত হন না। নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়।

দায়ীত্বশীলতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন।

সততা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনও ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তাঁর দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তাঁর প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।

পারস্পরিক বোঝাপড়া: একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin