শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

চতুর্থ দিন শেষ, এখনো বাংলাদেশের হাতে ম্যাচ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৮ মে, ২০২২
  • ২৩৯ Time View

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৯ রান। ফলে এখনো ২৯ রানের লিডে আছে টাইগাররা। এদিন শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের প্রথম ইনিংসের জবাবে ৪৬৫ রানের ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

চতুর্থ দিনে টাইগারদের প্রথম ইনিংস থামে ৪৬৫ রানে। এতে ৬৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। এরপর মাত্র ১ ঘণ্টা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় সফরকারীরা। তবে এসময়টা একরকম চাপে ছিল ব্যাটাররা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে মাঠে আসেন দুই লঙ্কান ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে। তবে তাইজুল ইসলামের সরাসরি থ্রোয়ে ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ফেরেন ১৯ রানে। পরে দিনের খেলার শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় তাইজুলের আরেক শিকারে পরিণত হন এম্বুলডেনিয়াকে। ২ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা দলের সংগ্রহ ৩৯ রান। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রান টপকে যায় টাইগাররা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরেই ছন্দপতন হয়েছিল টাইগারদের। বদলি কাসুন রাজিথার করা পরপর দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন শতকের পথে হাটা লিটন দাস ও রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা তামিম ইকবাল। তবে এক প্রান্ত আগলে মুশফিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান।

টানা দুই সেশন ব্যাট করা লিটন দাস ক্যারিয়ারের আরেকটি শতক থেকে মাত্র ১২ রান দূরে ছিলেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর টেস্টে নিজের তৃতীয় শতক তুলে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেবেন আরও, তেমনটাই প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে সেই আশায় গুঁড়ে বালি! বিরতির পর প্রথম বলেই নিজের উইকেট উপহার দিয়ে ৮৮ রানে সাজঘরের ফেরেন লিটন। তার পরের বলেই রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা তামিম ইকবালও রাজিথার শিকার হয়ে ফিরে যান আগের দিনের করা ১৩৩ রানেই। এরপরই ফেরেন ৪৪ বলে ২৬ করা সাকিব।

৩৯ রানের লিড নিয়ে বিরতি কাটিয়ে মুশফিক ১০৪ এবং নাঈম হাসান ৪ রান নিয়ে আবার ব্যাটিং শুরু করেন। তবে ফিরে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিক। লাসিথ এম্বুলডেনিয়ার করা বলটি লেগ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করে, সেটি প্যাডল সুইপ করেন মুশফিক। কিন্তু ব্যাটে খেলতে পারেননি। তার ইনিংস থেমে যায় ১০৫ রানে। এরপর একই পথ ধরেন নাঈম। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অফ স্টাম্পের বল ব্যাটে লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট লেগে কুসল মেন্ডিসের হাতে। ৫৩ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন নাঈম। তাইজুল ইসলাম প্রতিরোধ গড়ায় চেষ্টা করলেও সফল হননি। তার ইনিংস কাটা পড়ে ২০ রানে, অসিথা উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

শেষ জুটিতে রান কিছুটা বাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছিলেন শরিফুল আর খালেদ আহমেদ। তবে ইনিংসের ১৭১তম ওভারে হাতের আঘাতে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শরিফুলকে। এতে আর কোনো ব্যাটসম্যান অবিশিষ্ট না থাকায় ৪৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ দল।

এর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে অলআউট হয়েছে। সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এক রানের জন্য ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে নাঈম হাসানের বলে আউট হন তিনি। এছাড়া দিনেশ চান্দিমাল ৬৬, কুশাল মেন্ডিস ৫৪, ওশাদা ফার্নান্দো ৩৬ ও ভিশওয়া ফার্নান্দো ১৭ রান করেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেছেন নাঈম হাসান। ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০৫ রান খরচায় উইকেটগুলো নেন তিনি, ইকোনোমি ৩.৫০। তবে সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি ৩০ ওভার বল করে ৩ উইকেট শিকার করেন। মাত্র ১.৫৩ ইকোনোমিতে ৬০ রান খরচ করেছেন এই অলরাউন্ডার। অন্য উইকেটটি নেন তাইজুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin