শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

চাঁদের মাটিতে জন্মালো চারাগাছ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ২৩০ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা চাঁদের মাটিতে বীজ রোপন করেছিলেন। সেখান থেকে চারাগাছ জন্মালেও প্রবৃদ্ধির হার বেশি ছিল না। তবে হয়ত একদিন চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব- এটা তারই লক্ষণ।

১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালের তিনটি অ্যাপোলো মিশন চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করেছিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসার কাছে আবেদন করে ১২ গ্রাম চাঁদের মাটি পেয়েছিলেন গবেষকরা। এরপর এক গ্রাম কন্টেনারে অ্যারাবিডপসিস জাতের গাছের বীজ রোপন করা হয়। পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ছাইয়েও কিছু বীজ লাগান তারা।

এরপর গবেষকরা দেখতে পান ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি ও আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে লাগানো বীজ থেকে চারাগাছ গজিয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা যায় ছাইয়ের চেয়ে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম। গবেষণার ফলাফল কমিউনিকেশন্স বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের সহলেখক রব ফার্ল বলেন চাঁদের মাটিতে চারাগাছ যে গজিয়েছে সেটিই একটি ইতিবাচক বিষয়। তবে পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া গাছ চাঁদের পরিবেশে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব হলে সেখানে মিশনে যাওয়া নভচারীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই ফলাতে পারবেন।

এছাড়া বাতাস বিশুদ্ধ করতে ও বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে এটি নভচারীদের সহায়তা করবে। এবছরই আর্টেমিস কর্মসূচির আওতায় চাঁদে একটি মিশন পাঠাচ্ছে নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা। যদিও সেখানে কোনো নভচারী থাকছেন না। তবে চলতি দশকের শেষ নাগাদ চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin