তুরস্কে বেড়েই চলেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এপ্রিলে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ফলে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। এতে চাপ বাড়ছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের ওপর। তার অর্থনৈতিক নীতির কারণেই এমন সংকট তৈরি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তুরস্কের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ভোক্তা মূল্যসূচক বেড়েছে ৬৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মার্চে এই হার ছিল ৬১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেছেন, ভোক্তা মূল্যসূচক কমাতে সুদের হার কমানোর প্রয়োজন।
এদিকে ডলারের বিপরীতে তার্কিশ মুদ্রার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এতে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরেয়ে নিচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। এর আগে করোনার মহামারি দেশটিকে বেকায়দায় ফেলে। সব মিলিয়ে একদিকে যেমন তুরস্কের জ্বালানি খরচ বেড়েছে অন্যদিকে কমেছে উৎপাদন।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এরদোয়ান ক্ষমতা গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতির হার সর্বেচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।