রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঢল নেমেছে ঘরমুখো মানুষের। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। শনিবার (৩০ এপ্রিল) এরই মধ্যেই ১২০টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই সংখ্যা ১৫৭ হবে। এদিন সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন লাখো মানুষ।
রাতে সদরঘাট ঘুরে গেছে, যাত্রীর চাপ সামলাতে বরিশাল, ভোলা ও শরিয়তপুরগামী কিছু লঞ্চে বাড়তি যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম শরিয়তপুরগামী লঞ্চ প্রিন্স আওলাদ। বাড়তি যাত্রী তোলার বিরোধিতা করে শরিয়তপুরের ডামুড্যা-গোশাইরহাটের যাত্রীরা বিক্ষোভও করেন।
প্রিন্স আওলাদের আরও লঞ্চ থাকা সত্ত্বেও একটিতেই বাড়তি যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এদিন রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, শরিয়তপুরগামী মানুষের ঢল নামে সদরঘাটে। জানা গেছে, আজ এরই মধ্যে ১২০টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১২টা বাজা নাগাদ এই সংখ্যা ১৫৭ হবে। তবে চাঁদপুরের পন্টন ১৮ থেকে ২৫ এ যাত্রীদের চাপ নেই। স্বস্তি নিয়ে সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছেন এই রুটের যাত্রীরা। নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, ডিএমপির সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন।
সদরঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কন্ট্রোল রুম জানায়, রোববার সকালে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। চাঁদরাতে চাপ বাড়বে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের। দূরত্ব কম হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সদরঘাট হয়ে ঢাকা ছাড়েন এই রুটের যাত্রীরা