আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপব্যবহার করে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর উত্তরের খিলক্ষেত থানার কর্মী সম্মেলনে পুলিশী হামলা ও নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে’ এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে এবং ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখতে বিরোধী দল তথা বিএনপির বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়নের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপব্যবহার করে। কারণ ফ্যাসিষ্ট সরকারের কাছে গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কোন মূল্য নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, চাল ও ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। অথচ সেদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর হামলা ও নেতা কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সরকার যেন সদা তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তরের খিলক্ষেত থানার ১৭নং ওয়ার্ডের শান্তিপূর্ণ কর্মী সম্মেলন ও তথ্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে উত্তর বিএনপির সদস্য মাহফুজুর রহমান, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, খিলক্ষেত থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম আনোয়ার হোসেন, সুলতান মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, থানা বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, মনির হোসেন, মাহফুজ বাবু, লিটন ও রাসেলসহ ১০ জন নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে এই ধরণের গ্রেপ্তারের হিড়িকে দেশে সম্পূর্ণভাবে নাৎসীরাজ কায়েম হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নেতা কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার অপকর্মটি যেন সরকারের চিরস্থায়ী কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের এধরণের অপকর্ম রোধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হতে হবে। নইলে দেশ ও মানুষের ভবিষ্যৎ চরম সংকটে নিপতিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব নেতা কর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।