মিয়ানমারের নিরশ্র বিক্ষোভেকারীরা প্রতিবাদ জানাতে নিত্য নতুন পন্থার অবলম্বন করছেন। এবার পুরো রাস্তা জুড়ে আর্বজনা ফেলে তারা ধর্মঘট পালন করেছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে ময়লার পাহাড় হয়ে গেছে। এজন্য একে ‘আবর্জনা ধর্মঘট’ বলা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ জানানো নতুন এই কৌশলকে ‘সভ্য অবাধ্যতা’ ক্যাম্পেইন বলা হচ্ছে। তারা আহ্বান জানাচ্ছেন সব বড় রাস্তার মোড়ে আবর্জনা ফেলে রাখতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘এই আবর্জনা ধর্মঘটের উদ্দেশ্য সেনা শাসনের বিরোধিতা করা। এতে সবাই অংশ নিতে পারবেন।’
সোমবার (২৯ মার্চ) লাউড স্পিকারে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দেরকে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানানো হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় স্তরে স্তরে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের বেশ কিছু জায়গায় সরকারের পক্ষ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয় সঠিকভাবে আবর্জনা ফেলতে। কিন্তু সবাই এই নির্দেশ অমান্য করছেন।
সেনা শাসকদের বিরোধীতা করা তিনটি দল- দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি, দ্য আরাকান আর্মি ও টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এক যৌথ বিবৃতিতে আন্দোলনকারীদের হত্যা বন্ধ করতে সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীদেরকে ‘সহিংস সন্ত্রাসী’ হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ‘দাঙ্গাবিরোধী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান