টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কা ছিল টিম অস্ট্রেলিয়ার সামনে। অবশেষে সেই শঙ্কা উড়িয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেই সিরিজ শেষ করেছে অজিরা। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে সফরকারী দলটি।
তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার টম ব্যান্টন।
দ্বিতীয় উইকেটে জনি বেয়ারেস্টা ও ডেভিদ মালান মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ১৮ বলে ২১ করে সাজঘরে ফেরেন মালান। আর ৩ চার এবং ৩ ছক্কায় বেয়ারস্টো ৪৪ বলে ৫৫ রান করে অ্যাগারের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। ব্যর্থ হন বিলিংসও। তবে উইকেটে থিতু হয়ে বসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন মঈন আলি এবং জো ডেনলি।
মঈনের ২৩ বলে ২১ এবং জো ডেনলির ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা থাকে ১৪৫ এ গিয়ে। ১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন ফিঞ্চ এবং আর্চার। কিন্তু তৃতীয় ওভারে সেই ঝড় থামানোর চেষ্টা করেন মার্ক উড; ৯ বলে ১৪ করা ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে।
কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। কেননা অপরপ্রান্ত থেকে ঠিকই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফিঞ্চ। সঙ্গী হিসেবে নিয়েছিলেন স্টয়নিসকে। কিন্তু আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন দুই জনই। রশিদের গুগলিতে ফিঞ্চ বোল্ড হন ২৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে।
আর ব্যান্টনের তালুবন্দি হয়ে ক্যুরানের শিকার বনে ১৮ বলে ২৬ করে ফেরেন স্টয়নিস। দ্রুত ফিরে যান ম্যাক্সওয়েলও। এরপর দলকে জেতানোর বাকি কাজটা সারেন মিচেল মার্শ এবং অ্যাস্টন অ্যাগার মিলে। দলকে এনে দেন ৫ উইকেটের জয়। তাও তিন বল হাতে রেখেই।
এই সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি টি-টোয়েন্টির ৯ টিতেই জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড স্বপ্ন দেখছিলো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠার। কিন্তু শীর্ষস্থান ধরে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করলো অজিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ১৪৫/৬
(বেয়ারস্টো ৫৫, ডেনলি ২৯; জাম্পা ২/৩৪, স্টার্ক ১/২০)
অস্ট্রেলিয়া: ১৪৬/৫
(ফিঞ্চ ৩৯, মার্শ ৩৯*; রাশিদ ৩/২১, ক্যুরান ১/২৩)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী