সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

বিয়ে না করেও একস’ঙ্গে থাকতে পারবে প্রা’প্তব’য়স্ক না’রী পুরু’ষ, রায় দিল আ’দালত…

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৩৬ Time View

আদি কাল থেকেই আমাদের ভারতীয় সমাজে বৈবাহিক সম্প’র্ককে মানা হয় পবিত্র অটুট বন্ধ’ন যা ঈশ্বর স্থির করে থাকেন অনেক আগে থেকেই।

রাধা কৃষ্ণের জুটিকে পুজো করা হলেও বৈবাহিক সম্প’র্কের বাইরে প্রেমের সম্প’র্ক গু’লিকে আমাদের সমাজ কোনদিনই স্বীকৃতি দেয়নি। সেসব প্রেমকে সমাজ কলঙ্কিত বলেই গণ্য করেছে বারবার। অ’বৈধ সম্প’র্ক বা প্রেমকে কুনজরেই দেখা হয়ে থাকে বর্তমানে।

ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান অনেক ঘ’টনাই সাক্ষী আছে সম্প’র্কের নিয়ম নীতি না মেনে চললে কি কি মাসুল দিতে হয়েছে ভালোবাসাকে। তাই বাইরের দেশের মতো লিভ ইন রমরমা নেই ভারতে। তবে আজ কাল পরিবর্তন আসছে মা’নসিকতায়। ভালো মন্দ ইত্যাদির মানদ’ণ্ড কিন্তু আর আগের মতো নেই।

সম্প্রতি বিয়ে না করেও প্রা’প্তব’য়স্ক না’রী পুরু’ষের এক স’ঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে বলে এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ঘ’টনার সূত্রপাত কেরালার এক যুগলকে দিয়ে। নন্দকুমার নামের কেরালার এক যুবক থুশারা নামের এক তরুণী কে বিবাহ করেন।

কিন্তু নন্দকুমারের ব’য়স এখনও ২১ হয়নি। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী ছেলেদের বিয়ের ব’য়স ২১ এবং মে’য়েদের ১৮ হতে হবে। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দেন হাইকোর্ট। তরুনীকে তার মা বাবার সাথে থাকতে বলে আ’দালত। কেরালার এই যুবক সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।

সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ও অশো’ক ভূষণের বেঞ্চ এই যুগলের পক্ষে কথা বলেন। তারা জানান ২১ বছর ব’য়স হয়নি, অজুহাতে নন্দকুমারের বিয়ে ‘বাতিল’ বলা যায় না। নন্দকুমার ও থুসারা দু’জনেই হিন্দু হবার কারণে এ ধরনের বিয়ে ভিত্তিহীন হতে পারে না। ১৯৫৫-র হিন্দু বিবাহ আইন তার প্রমাণ।

তাদের বৈবাহিক সম্প’র্ক নাকচ করা যেতেই পারে, কিন্তু তাই বলে তাদের একসাথে থাকার সি’দ্ধান্ততে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কারণ দুজনেই প্রা’প্তব’য়স্ক।

তাই জয় হোক ভালোবাসার। দীর্ঘজীবী হোক সম্প’র্ক। সময় বদলাচ্ছে। তাই আইন কানুন বা মা’নসিকতা কোন কিছুই সময়ের ঘেরাটোপে আ’টকে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin