সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কা সিরিজ ছাড়াও আরও দু-একটি দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাবার্তা চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চায় বাংলাদেশ।
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উপর। আগামী ২-১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ডিসেম্বরে – জানুয়ারিতে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আজ এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুস। জালাল ইউনুস বলেন, ‘বিপিএলকে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করছি। এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এসে খেলেন।
যে পরিস্থিতি এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা আসবে কি আসবে না সেটা বড় প্রশ্ন। ফ্রাঞ্চাইজিরা প্রস্তুত কিনা সেটাও জানা জরুরী। আগস্ট মাস যাক। সেপেটম্বরে আমরা চিন্তা ভাবনা করবো। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আমাদের স্লট আছে। সেখানে আমরা আয়োজনের চেষ্টা করবো।’
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উপর। ‘করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি কিন্তু উন্নতি হয়নি। যদি করোনা আক্রান্তের সূচক নিম্নগামী হতো তাহলে কিন্তু আমরা চিন্তাভাবনা করতে পারতাম। এখন পরিস্থিতিটা ওরকমই আছে নয়তো বাড়ছে। সেজন্য আমরা অবজার্ভ করছি।’
ইতিমধ্যেই অনুশীলনে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কিছু সদস্য। ঈদের ছুটি শেষে আগামী শনিবার থেকে আবারো অনুশীলনের নামবে ক্রিকেটাররা। ধারণা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে শ্রীলংকার বিপক্ষে বিপক্ষে সিরিজের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
“প্রধান নির্বাহী এরই মধ্যে বলেছেন, আমরা কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগযোগ করছি। যেসব দেশে খেলা নিরাপদ সেখানে আমরা খেলতে যেতে চাচ্ছি। কথাবার্তা চলছে। করোনার প্রকোপ কম কিংবা নেই বললেই চলে, সেসব দেশে আমরা খেলতে যেতে পারি কি-না, সেসব নিয়ে আলোচনা চলছে।”
“বিশ্বকাপ (পিছিয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) খেলতে যাওয়ার আগে নিউ জিল্যান্ডে একটা টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্লট ছিল। এ বছরই যদি কোনো সুযোগ পাই নয়তো পরে বা আগে যদি সুযোগ আসে, তাহলে আমরা যাব খেলতে।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি স্থগিত থাকা ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর কথাও ভাবছে বিসিবি। তবে জালাল জানালেন, সবকিছুর আগে তারা ভাবছেন ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা।
“ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর চিন্তা অনেক দিন ধরেই মাথায় আছে। আমরা অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছি কিভাবে করা হয়। এরই মধ্যে একক অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছি কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে…সামনেও হবে।”
এছাড়া জাতীয় দলের স্কোয়াডে যারা আছে তাদেরও আস্তে আস্তে যুক্ত করা হবে। খুব শিগগির হয়তো তারা মাঠে নামবে। সব কিছুর আগে তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শুরু করতে হবে।”