রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার কাজী অনিক

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০
  • ২৭৫ Time View

বাংলাদেশ দলের তরুণ সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলার ছিলেন কাজী অনিক। বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং নিয়ম ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হলেন এই প্রতিশ্রুতিশীল বোলার।২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে রাজশাহী কিংসের পক্ষে ৩ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন কাজী অনিক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার কাজী অনিক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। বিসিবি জানিয়েছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন অনিক। ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারে ডোপ টেস্ট করানো হয়েছিল তার।

ভুল স্বীকার করেছেন কাজী অনিক। সেই সাথে দুই বছরের শাস্তি মেনে নিয়েছেন তিনি। অনিক বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং কোচ ২.১ ভঙ্গ করেছেন। তার শরীরে যে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাওয়া গেছে তা আইসিসির নিষিদ্ধ দ্রব্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত।

বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং কোডের অনুচ্ছেদ নম্বর ১০.১০.১, ১০.১০.২, ১০.১০.৩ আমলে নিয়ে অনিককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা তার প্রথম নিয়ম ভঙ্গ, বিবেচনা করা হয়েছে সেটাও। কাজী অনিকের এই দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় ক্রিকেট খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।

অনেকগুলি হাফ সেঞ্চুরি এবং সেঞ্চুরি মিস হয়ে যাচ্ছে : মুশফিকুর রহিম

দীর্ঘ চার মাস ঘরে বসে থাকার পর অবশেষে এক সপ্তাহ জন্য ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিল ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সহ দেশের আরও তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১৯ জুলাই থেকে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। রোববার (২৬ জুলাই) শেষ হয় ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম পর্ব।

অনুশীলনের শেষ দিনে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ক্রিকেটাররা। মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও তাসকিন আহমেদ শেষদিনে অনুশীলন করেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে অনুশীলনে আসেন মুশফিক। এসেই জিমে ৩০ মিনিটের মতো অনুশীলন করেই চলে যান ইনডোরে। সেখানে ঘণ্টাখানেক নেটে ব্যাটিং করেন। এরপর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে কিপিং অনুশীলনে করেন তিনি।

ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ব্যাটিং, রানিং ও জিম সেশনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে শেষ করেন অনুশীলন। এক সপ্তাহের অনুশীলনে মুশফিকুর রহিম ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ। এবং সপ্তাহের প্রতিটি দিনের প্রতিটি সেশনই কাজে লাগিয়েছেন।

বিসিবির সূচি অনুযায়ী ব্যাটিং, রানিং, জিম তো করেছেনই সুচির বাইরে গিয়েও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেরেছেন কিপিং অনুশীলন। এতে করে যথেষ্টই তৃপ্ত লাল-সবুজের এই ব্যাটিং কাণ্ডারী। এখন তিনি মুখিয়ে আছে মাঠের লড়াইয়ে ফিরতে।

‘এখন মুখিয়ে আছি মাঠের মানুষ যেহেতু মাঠেই ফিরতে পারি এবং ম্যাচ খেলতে পারি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমরা যেন ফিটনেস ধরে রেখে, স্কিল নিয়ে কাজ করে মানসিকভাবে ফিট থাকতে পারি সেটা চেষ্টা করতে হবে। আমরা সে কাজগুলোই করছি।

নিয়মিত কোচদের সাথে বসছি, অনলাইনে অনেক আলোচনা করছি। আমরা মনে করি সব মিলিয়ে সময়টা খারাপ যায়নি। পরিবারের সাথে ভালো একটা সময় কেটেছে। ‘ রোববার (২৬ জুলাই) প্রথম পর্বের ব্যক্তিগত অনুশীলনের শেষে বিসিবি’র পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিওবার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

মুশফিক এসময় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন অনুশীলন আয়োজনের জন্য। ‘বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ তারা আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে, তারা এত সুন্দর করে পরিকল্পনামাফিক ৭-৮ দিন যাই অনুশীলন করেছি ভালো ছিল। ‘

ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ চলছে। টিভিতে সেই সিরিজ দেখে আফসোস লাগে মুশফিকের। ক্রিকেট ছাড়া কতটা কষ্টে আছেন, তার এই কথাতেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ‘ খেলা দেখলে আসলে আফসোস লাগে সারাদিন বাসায় বসে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি এখন খেলাটাই দেখা হয় একটু হলেও খারাপ লাগে যে অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে!’

লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করলেন তামিম ইকবাল

লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ (শনিবার) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এমিরেটসের ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তামিম।

দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে পরে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। তামিম ইকবালকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ সংগঠক ওয়াসিম খান।

এদিকে যুক্তরাজ্য সরকারের নিয়মানুযায়ী লন্ডন পৌঁছেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না তামিম। তাকে আগে নিজ খরচে থাকতে হবে দুই সপ্তাহের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে। এ সময়ের মধ্যে তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা না দিলেই বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন।

কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যথা অনুভব করছেন তামিম ইকবাল। বিভিন্ন পরীক্ষা করেও রোগ ধরা পড়েনি তামিম ইকবালের। তাই এখন বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে হচ্ছে তাকে।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

করোনা পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের সামনে তেমন একটি দেখা যায়নি বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসকে। অবশেষে সামনে আসলেন তিনি।

খেলাধুলা নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের লাইভ শো ‘বি অ্যাকটিভ’ এ শনিবারের অতিথি ছিলেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল আয়োজন এর আশার কথা শুনিয়েছেন জালাল ইউনুস।

আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেখানে রয়েছে বড় একটি শর্ত। যদি করোনো ভাইরাস পরিস্থিতি বাংলাদেশের উন্নতি হয় তাহলেই একমাত্র বিপিএল আয়োজন করতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

‘খুব শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব, কোরবানির ঈদের পর বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা আছে। বিপিএল নিয়ে চিন্তা করবো, কখন করা যায়। বিপিএল করার সময়টা হাতে আছে কেননা এটির জন্য নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। সামনে আরও চার মাস হাতে থাকবে, আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর। আমরা চেষ্টা করব বিপিএল ঠিক সময়েই করতে।’

যদি বিপিএলের সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কোন কোন দল খেলবে। কেননা বিপিএল ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নামে। যেখানে বিসিবির অধীনে থাকা দল গুলি খেলেছিল। কিন্তু গত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল বিপিএলের সপ্তম আসর দল থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে।

বিসিবির সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে বলে জানান জালাল ইউনুস। নতুন করে চুক্তিসহ প্রয়োজনীয় কাজ ঈদের পর পরই শুরু করার ভাবনার কথা জানান তিনি, ‘জানেন যে অনেক দলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আগের যেসব দল আছে তারা খেলবে কি খেলবে না, আগ্রহী কিনা বা আমরা নতুন কোনো দলকে নেব কিনা; বা নতুন কেউ আগ্রহ দেখিয়ে আসবে কিনা; অনেক ব্যাপার আছে।

তো দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে আগে কিছু কাজ সেরে রাখতে চাই। কাজের গতিশীলতা নির্ভর করছে সময়ের উপর। পেপার ওয়ার্ক করে রাখব। ঈদের পর আমরা সভায় বসব তখন বিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অনেক কাজ বাকি আছে। প্লেয়ার্স কন্ট্রাক্ট, নতুন টিমের সঙ্গে চুক্তি…।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin