দীর্ঘ চার মাস ঘরে বসে থাকার পর অবশেষে এক সপ্তাহ জন্য ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিল ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সহ দেশের আরও তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১৯ জুলাই থেকে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
রোববার (২৬ জুলাই) শেষ হয় ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম পর্ব। অনুশীলনের শেষ দিনে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ক্রিকেটাররা। মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও তাসকিন আহমেদ শেষদিনে অনুশীলন করেন।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে অনুশীলনে আসেন মুশফিক। এসেই জিমে ৩০ মিনিটের মতো অনুশীলন করেই চলে যান ইনডোরে। সেখানে ঘণ্টাখানেক নেটে ব্যাটিং করেন। এরপর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে কিপিং অনুশীলনে করেন তিনি।
ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ব্যাটিং, রানিং ও জিম সেশনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে শেষ করেন অনুশীলন। এক সপ্তাহের অনুশীলনে মুশফিকুর রহিম ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ। এবং সপ্তাহের প্রতিটি দিনের প্রতিটি সেশনই কাজে লাগিয়েছেন।
বিসিবির সূচি অনুযায়ী ব্যাটিং, রানিং, জিম তো করেছেনই সুচির বাইরে গিয়েও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেরেছেন কিপিং অনুশীলন। এতে করে যথেষ্টই তৃপ্ত লাল-সবুজের এই ব্যাটিং কাণ্ডারী। এখন তিনি মুখিয়ে আছে মাঠের লড়াইয়ে ফিরতে।
‘এখন মুখিয়ে আছি মাঠের মানুষ যেহেতু মাঠেই ফিরতে পারি এবং ম্যাচ খেলতে পারি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমরা যেন ফিটনেস ধরে রেখে, স্কিল নিয়ে কাজ করে মানসিকভাবে ফিট থাকতে পারি সেটা চেষ্টা করতে হবে। আমরা সে কাজগুলোই করছি।
নিয়মিত কোচদের সাথে বসছি, অনলাইনে অনেক আলোচনা করছি। আমরা মনে করি সব মিলিয়ে সময়টা খারাপ যায়নি। পরিবারের সাথে ভালো একটা সময় কেটেছে। ‘ রোববার (২৬ জুলাই) প্রথম পর্বের ব্যক্তিগত অনুশীলনের শেষে বিসিবি’র পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিওবার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
মুশফিক এসময় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন অনুশীলন আয়োজনের জন্য। ‘বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ তারা আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে, তারা এত সুন্দর করে পরিকল্পনামাফিক ৭-৮ দিন যাই অনুশীলন করেছি ভালো ছিল। ‘
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ চলছে। টিভিতে সেই সিরিজ দেখে আফসোস লাগে মুশফিকের। ক্রিকেট ছাড়া কতটা কষ্টে আছেন, তার এই কথাতেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ‘ খেলা দেখলে আসলে আফসোস লাগে সারাদিন বাসায় বসে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি এখন খেলাটাই দেখা হয় একটু হলেও খারাপ লাগে যে অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে!’