অবশেষে কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আজ সকাল সকালেই মোহাম্মদ মিঠুনকে সাথে নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে যান জাতীয় দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
সকাল ০ টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল অনুশীলন। ঘড়ির কাঁটা সকাল ৯ টা বাজার আগেই উপস্থিত হন মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর আসেন ফাস্ট বোলার শফিউল ইসলাম। ইমরুল কায়েসের আসার কথা থাকলেও আজ তিনি আসেননি। জানা গেছে আগামীকাল থেকে অনুশীলনে যোগ দেবেন তিনি।
সকাল ৯ টার মধ্যে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একাডেমি মাঠের সবুজ চত্বরে রানিং ও স্ট্রেচিং করে মুশফিকুর রহিম চলে যান ইনডোরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করতে। এরআগে ইনডোরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর বেলা ১১ টার দিক অনুসরণ করতে আসেনি পেসার শফিউল ইসলাম।
তবে এই সময় কেউ এক সঙ্গে রানিং, ব্যাটিং কিংবা বোলিং প্র্যাকটিসও করেননি। প্রত্যেকেরই প্র্যাকটিস শিডিউল ছিল আলাদা। সময়সূচি ও ধরন আগে থেকেই ঠিক করা। একজন যখন রানিং করবেন, অন্যজন তখন ব্যাটিংয়ে থাকবেন। এভাবেই যাতে তাদের একসঙ্গে হতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিডিউল করা হয়েছে।
এদিকে শুরুতে বলা হয়েছিল, শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং আর জিমওয়ার্ক করা যাবে। তবে শেষ মুহূর্তে সেখান থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট অপারেশন্স। শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে কিংবা একাডেমি মাঠের নেটে নয়, ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর রানিংটা করতে হবে একাডেমি মাঠে।
অনুশীলন শেষে মিঠুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পর মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি। ব্যাটিং, রানিং-সব কিছুই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এত দিন আমরা সব কিছুই ঘরের ভেতর করেছি। এখন মাঠে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি দিনে দিনে সব আগের মতোই ফিরে পাব।’
অন্যদিকে খুলনায় অনুশীলন করেছেন মেহেদী হাসান ও সোহান হাসান সোহান। সিলেটে অনুশীলন শুরু করেছেন পেসার সৈয়দ খালেদ ও নাসুম আহমেদ। আর চট্টগ্রামে অনুশীলন করেছেন নাঈম হাসান। আগামী ২৬ জুলাই শেষ হবে সাত দিনের এই অনুশীলন।
খুলনার স্থানীয় তিন ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান ও কাজী নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেছেন শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। সকাল নয়টা থেকে তাদের পৃথক অনুশীলন শুরু হয়। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা সময়ে জিম সেশন এবং মাঠে রানিং করেন। তবে ক্রিকেটারদের এদিন ইনডোর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এ সময় কাজী নুরুল হাসান সোহান বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম দিনটা ভালোই কেটেছে। এর আগে যতটুকু অনুশীলন করেছি সেটা যতটা কাজে লাগবে, এখন কিন্তু আরও বেশী করে কাজে লাগাতে পারবো। নিজ পরিবেশে মাঠে ফেরার তৃপ্তিটা অন্যরকম।
আনন্দ লাগছে প্রচণ্ড। মনে হচ্ছে যেন, সব কিছুই যেন ফিরে পাচ্ছি।’ এতদিন পরে অনুশীলনে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ,‘আসলে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। চিরচেনা স্টেডিয়ামে আবারও পা ফেলেছি এজন্য ভালো লাগছে।
ক্রিকেট ছেড়ে এতোটা দীর্ঘ সময় আগে পার করিনি। মাঠের খেলা ফিরতে হয়তো এক মাসেরও বেশি সময় লাগবে। এই সময়টাতে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে নিজের ফিটনেস, স্কিল, মানসিকভাবে নিজেদের ফিট করা। আশা করছি এই সময়টাতে সেটা করে ফেলতে পারবো।’