দ্বিতীয়বারের মতো বিবাদপূর্ণ ওই পানিসীমায় বড় ধরনের যুদ্ধজাহাজের সমাবেশ ঘটলো। দক্ষিণ চীন সাগরে বিরল দ্বৈত মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিমানবাহী দুই জাহাজ। এর মধ্য দিয়ে এ মাসে জুলাইয়ের শুরুতেই দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় সামরিক মহড়া চালিয়েছিল চীন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন তখনই এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল। তখন নিজেদের মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সেভেনথ ফ্লিটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি বলেন, ‘ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মহড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনীগুলো অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্
য কিংবা বিশ্বের ঘটনাবরীকে কেন্দ্র করে এ জাহাজগুলো পাঠানো হচ্ছে না। বরং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, ও সমৃদ্ধি রক্ষায় মার্কিন নৌবাহিনী যেসব অত্যাধুনিক সক্ষমতা ব্যবহার করে এটি তারই একটি।’সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে সে মহড়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিটের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়,
দক্ষিণ চীন সাগরে দ্য ইউএসএস রোনাল্ড ও ইউএসএস নিমিৎজ নামক বিমানবাহী জাহাজ অনুশীলন চালাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) নাগাদ এ দুই যুদ্ধজাহাজে নিয়োজিত আছে ১২ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই দুই বিমানবাহী জাহাজের মাঝখানে ১২০টিরও বেশি বিমান মোতায়েন আছে। এগুলো যুদ্ধপ্রস্তুতি ও দক্ষতা যাচাই করতে কৌশলগত বিমান প্রতিরক্ষা
মহড়া চালাচ্ছে।’ মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান,
ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে ওই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় তারা। এর অংশ হিসেবেই এ সাগরে চীনের সাম্প্রতিক মহড়ায় ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের আপত্তির প্রতি সমর্থন জানায় ওয়াশিংটন।