যুক্তরাজ্যে মানবশরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন উদ্ভাবিত এই ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৩০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এর আগে পশুর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলে তা নিরাপদ ও শরীরে
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিন তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের প্রফেসর রবিন শ্যাটক ও তার সহকর্মীরা।
ইমপেরিয়াল কলেজের এই ভ্যাকসিন প্রথম প্রয়োগ করা হয় স্বেচ্ছাসেবী ক্যাথির (৩৯) শরীরে। ক্যাথি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সামিল হতে শরীরে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি।
ক্যাথি বলেন, ‘আমি আসলে বুঝতে পেরেছি যে, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মানুষের জীবন স্বাভাবিক হবে না। সেই উপলব্ধি থেকেই এই অগ্রসরমূলক কর্মকাণ্ডে (ভ্যাকসিনের ট্রায়াল) অংশ নিয়েছি।’
ইমপেরিয়াল কলেজের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই পর্বের ট্রায়াল শেষ আগামী অক্টোবরে ৬ হাজার মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইমপেরিয়াল টিম আশা করছে, ২০২১ সালের শুরুতে যুক্তরাজ্য ছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন তারা।
বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১২০টি করোনা ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণা চলছে। ইতোমধ্যে অক্সেফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা মানবশরীরে তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন। চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে
পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। শনিবার চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি (আইএমবিসিএএমএস) তাদের তৈরি একটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। আইএমবিসিএএমএসের এই ভ্যাকসিনটি চীনের তৈরি ছয়টি ভ্যাকসিনের একটি।