রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন

এমফিলে ভর্তিতে গোলাম রাব্বানীর অনিয়মের সত্যতা মিলেছে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ১০৪৩ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস গোলাম রাব্বানী এমফিলে ভর্তিতে যে অনিয়ম করেছিলেন তার সত্যতা মিলেছে।
জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তার স্নাতকোত্তর শেষ হয়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের এমফিলে (মাস্টার অব ফিলোসফি) ভর্তি হয়ে তিনি গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ওই নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হন তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান তিনি।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনের পর বিভাগের একাডেমিক কমিটি, অনুষদ সভা, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের সভার সুপারিশের পর একাডেমিক পরিষদের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু গোলাম রাব্বানীকে এমফিলে ভর্তির ক্ষেত্রে অনুষদ সভার কোনো সুপারিশ ছিল না।

শুধু তাই নয়, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ও একাডেমিক পরিষদের নিয়মিত যে অ্যাজেন্ডা, সেখানেও তার নাম পাওয়া যায়নি।
তবে গোলাম রাব্বানীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ীই তিনি ভর্তি হয়েছেন।

বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ এবং একাডেমিক পরিষদের নিয়মিত সভার অ্যাজেন্ডায় নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখব।’

সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের ২২ জানুয়ারির সভা ও ২৪ জানুয়ারির একাডেমিক পরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাব্বানীকে ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষে এমফিল প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষে ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে এই বিভাগে আরও দুজনকে এমফিলে ভর্তি করা হয়েছে। এই তিনজনের তত্ত্বাবধায়ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান।

বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ও একাডেমিক পরিষদের কার্যবিবরণীতে ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল প্রথম বর্ষে ভর্তির অনুমতির জন্য উত্থাপিত শিক্ষার্থীদের তালিকা উল্লেখ আছে।

কিন্তু কোনোটিতেই অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে এমফিল প্রথম বর্ষে ভর্তির বিষয় সেখানে উল্লেখ নেই।

রাব্বানীর ভর্তির নথিতে সই করা উপরেজিস্ট্রার শেখ মো. জামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ২৪ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভার পাঁচ–দশ মিনিট আগে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান উপাচার্যের কাছে গোলাম রাব্বানীসহ তিনজন শিক্ষার্থীর এমফিলে ভর্তির অ্যাজেন্ডা নিয়ে যান। তাদের ভর্তির বিষয়টি ওই সভায় অনুমোদিত হয়েছে বলে জানানোর পর গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের নাম তাঁরা সভার সিদ্ধান্তের কপিতে যুক্ত করেন।

কিন্তু প্রশাসনিক ভবন থেকে ওই সিদ্ধান্তের নিয়মিত কপিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সই থাকলেও গোলাম রাব্বানীসহ অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর এমফিল ভর্তির অনুমোদনের পৃষ্ঠাটিতে কারও সই নেই।

গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের এমফিলে ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়মমাফিক যেসব শিক্ষার্থী এমফিলে ভর্তি হন, তাদের বিষয়ে অনুষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়ে বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এই তিনজনের নামই বিভাগ থেকে অনুষদ সভায় পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তারা তাহলে কীভাবে ভর্তি হয়েছেন, জানতে চাইলে সাদেকা হালিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin