অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিকত্ব পাননি বলে জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়,
গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি কুয়েতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কথা আসছে, তা ‘সঠিক নয়’। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ফরেইনার্স রেসিডেন্টশিপ আইনে তিনি এখানে বসবাস করছেন এবং একাধিক মামলার আসামি হওয়ায়
তাকে পাবলিক প্রসিকিউশনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।’ পাপুল কুয়েতের নাগরিকত্ব নিয়ে থাকলে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এই সংসদ সদস্যদের পদ বাতিল হয়ে যাবে বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরদিন এ বিষয়ে কুয়েত সরকারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এল।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও বলেছিলেন, ‘এমপি পাপুল কুয়েতের ‘লোকাল রেসিডেন্ট’। তবে নাগরিক কি-না, সে সময়ে তিনি তখন স্পষ্ট করেননি।’
পাপুলের নাগরিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বলেন, ‘কুয়েতের নাগরিকত্ব আইন অনেক কড়া। আমার জানা মতে, উনার নাগরিকত্ব নেই।
গত কয়েক বছরে এশিয়ার কেউ নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে আমার জানা নেই। দীর্ঘদিন ধরে উনি (পাপুল) এখানে রেসিডেন্সি পারমিট নিয়ে থাকেন। এ পারমিট কয়েক বছর পরপর নবায়ন করা লাগে।’