রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

গোপ’ন তথ্য ফাঁ’স,আঃলিগ নয় বরং তারেক জিয়ার বিশেষ ঘুঁ’টি ভি’পি নুর!

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০
  • ৩৬৮ Time View

হঠাৎ করে করো’নাভাইরাসে মৃ’ত্যুর কারণে দেশের আ’পামর জ’নগণের মনে এক বিষাদের। যদিও কিছু পাকি বীজের ন’রপশু ম’রা মানুষ নিয়েও নানা মি’থ্যাচার আর উল্লাস করছে, কিন্তু তার সংখ্যায় খুব ন’গণ্য।১৯৭২ সালে দেশে ধ’র্মভি’ত্তিক দলের রা’জনীতি নি’ষিদ্ধ ছিলো।

‘১৯৭১ সালের মুক্তিযু’দ্ধ ফেরত এবং সমাজতান্ত্রিক মানসিকতার রা’জনৈতিক কর্মীদের দিয়ে ১৯৭২ সালে যে দলটি গঠিত হয়’ তার নাম জাসদ। প্রতিষ্ঠার সময় এই দলের প্রায় সবাই ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগের জুনিয়র নে’তা ছিলেন।

জাসদ প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যেই দেশে অরাজগতা শুরু হয়। রাতারাতি জাসদের মধ্যে জ’ঙ্গি মনোভাবের কর্মীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়তে থাকে খু’ন রাহা’জানী আর অরা’জগতার চেষ্টা।

বঙ্গবন্ধু এদের প্রতি অনেকটা উ’পায়হী’ন হয়েই বেশ ন’মনীয় ছিলেন। আসলে মু’সলিম লীগ, জামায়াত, এই সব দলের রা’জনীতি করার অধিকার না থাকায় মাঠের সব কর্মী ভিড়ে যায় জাসদে।

তারাই মানে নব্য জা’সদরা হ’ত্যা, গু’ম, ইত্যাদিতে রাখে অনেক বড় ভূমিকা।* *তাই ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে তারা অনেক ভোট পেয়ে যায়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নি’হত হবার পরে এসব কর্মীদের সকলেই সাথে কিছু আসল জাসদকে নিয়ে চলে যায় বি’এনপিতে।

উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ভোটের হিসেবে দেখা যায়; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৩% ২৯৩ আসন, জাতীয় আওয়ামী পার্টি (মুজাফ্‌ফর) ৮% ০ আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৭% ৫ আসন।

জাতীয় আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) ৫% ০আসন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৪% ১ আসন, স্বতন্ত্র ১% ১ আসন। মোট ১৯,৩২৯,৬৮৩ভোট ১০০% ৩০০ আসন।

২৮ বছর পর ১১ মার্চ ২০১৯ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ছাত্রী হলে মিথ্যা গু’জবের ভিত্তিতে কিছু পদ আর ডাকসুর ভি’পি পদে জয়লাভ তথাকথিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক এর গ্রুপ।

এর পর থেকেই বর্তমান সরকার উৎখাতের ষ’ড়’যন্ত্রে লি’প্তরা নানা কৌশলে এ’গুতে থাকে নুরুদের কাজে লাগিয়ে কিছু করার। মোটা অং’কের টাকায় বামাতি পত্রিকা প্রথম আলো

এর দায়িত্ব নেয় এর আগেই, যেমনটি করেছিলেন জিয়াউর রহমান মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে নৌবিহারে গিয়ে সম্পর্ক তৈরি আর যুব চেতনা বুঝতে।

আসলে তিনি কী করেছিলেন তা সবাই জানেন। একই আদলে কিছু করা মানসে ২০১৭ সালে একবার আবার ২০১৯ সালে আরেকবার। আসলে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা বিশেষ চেতনায় তরুণদের যতটুকু পারা যায় মোটিভেট করা।

তাঁদের পত্রিকায় ১৯ মার্চ ২০১৯ এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বাংলাদেশে তরুণ শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তায় বিভিন্ন ধরন আছে। সুন্দরবন আন্দোলনে দেখেছি, কিশোর–তরুণদের ভেতর দেশ, প্রাণ–প্রকৃতি, জন–অধিকার নিয়ে মনোযোগ ক্রমেই বাড়ছে,

তাঁরা সক্রিয় ভূমিকা পালনে পথসন্ধানী। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কাজের খোঁজে তরুণদের উদ্বেগ ও দু’র্নী’তি-বৈ’ষম্য-বি’রোধী প্র’তিবাদের জো’য়ার দেখেছি।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেখেছি কিশোর বিদ্রোহীদের সক্ষমতা। বরাবরই তরুণদের সক্রিয়তা বিশেষত ‘ছা’ত্ররা’জনীতি’র দুটি ধারা প্রধান: একটি ধারা ক্ষ’মতাসীন শ্রেণি ও গোষ্ঠীর রা’জনীতি এবং সামাজিক সম্পর্কের কাছাকাছি থাকে,

আর অন্যটি তাদের ব’দলানোর জন্য ল’ড়াই করে। প্রথম ধারাটি ক্ষমতাসীন দলকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর দখলকারী, লু’টেরা ও দু’র্নী’তিবাজদের ভা’ড়াটে সৈনিকের মতো ভূমিকা পালন করে।

এই ধারা তরুণদের শক্তির অবক্ষয় নির্দেশ করে।দ্বিতীয় ধারাটি দৃঢ়ভাবে সংগঠিত নয়, পৃষ্ঠপোষণ পায় না, রাষ্ট্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন তাদের বিরু’দ্ধপ’ক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে,

তারা অবিরাম নি’পীড়ন ও বৈ’রিতার শি’কার হয়। কিন্তু এই দ্বিতীয় ধারাই সমাজের নতুন প্রজন্মের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এভাবেই তাঁদের প্রশংসা করে ফুলিয়ে ফাঁ’পিয়ে তোলার চেষ্টা হয়।

তরুণেরা কী ভাবছেন, কী করছেন ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ এই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, জাতিসং’ঘের সং’জ্ঞায় যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে, তাঁদেরই তরুণ বলা হয়। বিশ্বব্যাপী এই তরুণের সংখ্যা এখন ১৮০ কোটি।

আবার ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশে নির্ভরশীল মানুষের তুলনায় কর্মক্ষম জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি।

এই সুবিধা থাকবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত। এটাই ষ’ড়য’ন্ত্রকারীদের কাছে খুব ল’ভনীয় একটা ব্যাপার, যাতে ঐ সময়ের মধ্যে কিছু করা যায়, আর কী!* *২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ প্রকাশিত প্রথম আলো জরিপের রিপোর্টে দেখা যায় তরুণদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তু’ষ্টি প্রকাশ করেছে।

তরুণেরা কী ভাবেন, অবসরে কী করেন, বিনোদনের জন্য কোন মাধ্যম পছন্দ করেন— বিশ্বায়ন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণদের বিশ্বাস, জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটিও এই জরিপে তুলে আনার চেষ্টা হয়।

সরকারের কাছে কী চান—জানতে চাইলে তাঁদের চাহিদার তালিকা ছিল বেশ লম্বা। যেমন শিক্ষার মান বাড়াতে হবে, বিশেষ করে গ্রামে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা খাত থেকে রা’জনীতি দূরে রাখা, শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো,

মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, পড়াশোনার চাপ কমানো, প্রযুক্তি শিক্ষাকে সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা, বিনা মূল্যে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা, উদ্যোক্তা হতে সহজে মূলধন পাওয়ার ব্যবস্থা করা, কর্মসংস্থান তৈরিতে নতুন নতুন শিল্প খাত প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান–উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা,

প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা, মাদক নিয়ন্ত্রণে মা’দক ব্য’বসায়ী চ’ক্রকে নি’র্মূল করা, বাল্যবিবা’হ ব’ন্ধে সচেতনতা বাড়ানো, ১৬ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষি’দ্ধ করা এবং

মেধাবীদের দেশে ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক বেতনের ব্যবস্থা করা।* *ইতোমধ্যে বিপুল প্রচারণা বাজেটে নিয়ে তারেক জিয়া সাঈদীর মুক্তির জন্য জামায়াত শিবির দিয়ে অনলাইন প্রচারণা চালাতে কমিটি গঠন করেছিলেন!

তার অতিরঞ্জিত প্রচারণায় মনে হয়েছিল বাংলাদেশ একটি ব্য’র্থ রাষ্ট্র। মা’নবতাবি’রোধী অ’পরাধের দা’য়ে দ’ণ্ডপ্রা’প্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির জন্য অনলাইনে প্র’চারণা চালাতে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিতে ছিল জামায়াতের

দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আহ্বায়ক। এ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল,

মহানগর উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও ছাত্র শিবির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সকল জেলা ও মহানগরী আমিরসহ বিশ্বের নানা দেশে অবস্থানরত দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়।এটা সফল না হওয়ায় পরে অন্য তরিকা হাতে নেওয়া হয়,

যদিও সেখানে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের নাম ছিল না যিনি জাতীকে উদ্ধার করতে আসছেন এবং তিনিই একমাত্র মানবিক চিকিৎসক।

যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ লক্ষ লোক আক্রা’ন্ত এবং মা’রা গেছে এবং সেখানে বসবাসকারী শতশত বাংলাদেশী মা’রা উনি সেদিকে না দেখে এখানে আশার জন্য এত প্রচার প্র’চারণার কারণ কি হতে পারে?

বিএনপি জামাত তার ঘাড়ে ভর করে। যারা ডাক্তার জাফরুল্লাহ নিয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলো তাদেরকে দিয়ে আমেরিকান ডাক্তারের প্রচার করতে বলা হয় তাই যে ডাক্তারের পোস্টে মার্চ ২০২০ তারিখেও ২০০ লাইকও আসতো না তার পোষ্টে এখন লাইকের ছড়াছড়ি।

সংগত কারণেই এখন জাফরুল্লাহর প্রচারে ভাটা পড়ে যায়।* *এরপরের দফায় প্রচারের লাইনে রাখা হয় ভিপি নুরুকে। কারণ এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ভবিষ্যতে রা’জনীতির সঙ্গে যুক্ত হবেন বলে প্র’ত্যাশার কথা জানিয়েছেন৷

কিন্তু নুরুর আ’ওয়ামী লীগ, বি’এনপির কোনটিকেই ‘পছন্দ` নয় জানিয়ে (জা’মায়াত পছন্দ!) তিনি বলছেন, দল দুটির কার্যক্রমে পরিবর্তন হলে এর যে কোনো একটিতে যোগ দিতে পারেন তিনি৷নুরুর সাথে তারেক জিয়ার কানেকশন অনেক পুরাতন তা সবার জানা।

তাই হঠাত করেই ভি’পি নূর নতুন দল করবেন বলে ঘোষণা দিয়ে বলেন, তরুণদের নিয়ে নতুন একটি রা’জনৈতিক দল করবেন। গত সপ্তাহে ফে’সবুক লা’ইভে এসে এ ঘোষণা দেন তিনি। ফে’সবুক লা’ইভে নুরুল হক নূর বলেন, তিনি আ’ওয়ামী লী’গ-বি’এন’পির রা’জনীতি করেননি করবেনও না (মি’থ্যচার)।

তিনি বলেন, আমরা একটি নতুন ধারার রা’জনৈতিক দল গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন রা’জনৈ’তিক দল গঠনের উদ্দেশ্যে যুব, শ্রমিক ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ গঠন করেছি।* *নতুন পরিকল্পনায় নুরু ফেল করলে, এর আগে য’ড়য’ন্ত্রের অংশ হিসেবে গুলেন

মুভমেন্টের আদলে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষ’ড়য’ন্ত্রকারী ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী মাম’লার আ’সামী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও দিগন্ত টিভির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মজিবুর রহমান মনজুর উদ্যোগে

জামায়াত-শিবির থেকে বের হয়ে আসা ও বহিষ্কৃতদের নিয়ে ২ মে ২০২০ তারিখে ‘আমরা বাংলাদেশ পার্টি’ নামে একটি দল গঠন করে বাংলাদেশদের রা’জনীতিতে নতুন আ’লোচনার জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের ঘাড়ে ভর করবেন তারেক জিয়া।

কারণ রা’জনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, জামায়াত-শিবিরের রা’জনীতির নতুন সং’স্করণই হচ্ছে ‘আমরা বাংলাদেশ পার্টি’, সং’ক্ষেপে যার নাম ‘এবিপি’ রাখা হয়েছে।

ধারাবাহিক ষ’ড়য’ন্ত্রের অংশ হিসেবে তারেক জিয়ার পেইড এ’জেন্টদের মাধ্যমে কিছু সরকার সমর্থক মি’ডিয়াকে বি’তর্কি’ত করে নতুন ফাঁ’দ পাতা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় প’রিস্থিতি কথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin