২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে শুভংকরের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে ২০২০-২১ অর্থবছরে গতানুগতিক উচ্চভিলাষী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট ভাবনা থেকে বেরিয়ে মানবকল্যাণে করোনা সংকটকালীন যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত বাজেট প্রত্যাশা শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অব বাংলাদেশ।
রিজভী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট একেবারে শুভংকরের ফাঁকি। বাজেটের মধ্যে ফুটে উঠেছে সরকারের নির্মমতা, সরকারের নির্দয়তা। বাজেট পাস হয়নি, এর আগেই মোবাইল থেকে টাকা পাচার শুরু হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য খাত। সে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে গতানুগতিক। বিশেষভাবে কিছু করা হয়নি।’
রিজভী আরো বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা দুর্নীতির মহোৎসব ভয়াবহতা দেখলাম। সরকারের অদক্ষতা দেখলাম। আজকে মাস্ক নেই, হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন নেই। এগুলো কীভাবে আনা যায়, অভাব পূরণ করা যায়, তা বাজেটের মধ্যে নেই। এই বাজেট শুধু মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতালে করোনা সুরক্ষা নেই। না থাকার কারণে করার চিকিৎসা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে এর কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাংলাদেশের হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় ৮৬ শতাংশ নার্সদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার ছিল। তাদের সে প্রশিক্ষণ নেই।
ফলে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, তারা সঠিক সেবা পাচ্ছে না। প্রশিক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার, তা বাজেটে নেই। বাজেট মানুষ বাঁচানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেই; বরং মানুষ যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, জবাবদিহি থাকলে এ করোনা আক্রমণে সারা দেশ সয়লাব হতো না।’
এরপর দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী মোড়ে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল আয়োজিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য বিতরণে যোগ দেন রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এমন কোনো সেক্টর নেই যে তিনি উন্নয়ন করেননি।
এ জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। (কিন্তু) তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। তাঁর সততা ও দেশপ্রেম মানুষ ভুলে যায়নি। তাঁর অবদান মানুষ কোনোদিন ভুলবে না, সারা জীবন স্মরণ করবে।’