আগামী ১২ আগস্ট সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা। তবে ট্রেনে আনন্দের ঈদযাত্রা দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে গিয়ে ঠেকেছে ১০ ঘণ্টা দেরিতে। সকালের ট্রেন যাচ্ছে রাতে আর রাতের ট্রেন আসছে সকালে। ঈদের ট্রেন যাত্রার প্রথম দিনের শিডিউল শুরু হয়েছিল এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে শুক্রবার সুন্দরবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকে ট্রেনের শিডিউলে বলা যায় বিপর্যয় হয়েছে।
আজ ১০ আগস্ট শনিবার একসঙ্গে অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়তে গিয়ে দেরির কবলে পড়ছেন। দিনের প্রথম ট্রেন ধুমকেতু এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছাড়বে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৫ ঘন্টা পর আনুমানিক ১১টা ২০ এ ছেড়ে যাবে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ ঘন্টা দেরিতে আনুমানিক বিকেল ৪টায় ছেড়ে যাবে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ ঘন্টা দেরিতে আনুমানিক বিকেল ৫টায় ছেড়ে যাবে। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ১০ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ছেড়ে যাবে।
ট্রেনের এমন শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। আগেভাগে স্টেশনে এসে তারা ঘণ্টা পর ঘণ্টা প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে শুয়ে বসে সময় পার করছেন। যারা পরিবারসহ স্টেশনে এসেছেন তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে।
তাছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। চন্দ্রায় থেমে থেমে চলছে গাড়ি। সেই সঙ্গে আছে গণপরিবহন সংকট সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নেয়ার ভোগান্তিও। সড়কের যানজট কমাতে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার, নবীনগর, নয়ারহাটসহ কয়েকটি এলাকায় আছে যানবাহনের বাড়তি চাপ। এছাড়া গাড়ির বাড়তি চাপ থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত পৌঁছাতেও লাগছে দীর্ঘ সময়। যানজটে চরম ভোগান্তিতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। গরমের কারণে যানজটে আটকে পড়া অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়