রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আরব আমিরাত: এরদোগান

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০
  • ২৭৩ Time View

মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান বলেছেন, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করতে পারি। অথবা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে পারি। শুক্রবার ইস্তান্বুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের কাছে এরদোগান

একথা বলেন। খবর আনাদলু এজেন্সির। মূলত ইহুদিদের সন্ত্রাসবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তির জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছেন এরদোগান। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিজেদের সংকীর্ণ

স্বার্থে ফিলিস্তিনি ইস্যুতে বিশ্বাসঘাতকতা করেও আরব আমিরাত একে ফিলিস্তিনিদের জন্য আত্মত্যাগ করার মতো কাজ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে। এটা বিশ্বের পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’ তুরস্ক বলেছে, আমিরাতের এ ভণ্ডামি কোনো দিনও ক্ষমা পাবে না।

এ চুক্তি মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরলস প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। শিগগিরই আরব আমিরাত

ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করবেন আরও সংবাদ ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন আরব আমিরাতের যুবরাজ! ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিভলিন ও আমিরাতের যুবরাজ নাহিয়ান।

ফাইল ছব সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজকে ইসরায়েলে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিভেন রিভলিন। আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তির পর এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। শুক্রবার ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে

এ খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদলু নিউজ। খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আবধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানকে ইহুদীবাদী ওই রাষ্ট্রে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট রিভলিন

এক টুইটবার্তায় বলেন, এই চুক্তি ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার মাইলফলক। আমি আশা করি আমাদের দুই দেশ ও জনগণের মাঝেও পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা আরও দৃঢ় হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত

আরব আমিরাত দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ঐতিহাসিক চুক্তি করে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোন আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। চুক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প,

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল

পশ্চিম তীরের বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরায়েলের অংশ করে নেয়ার কাজ আপাতত স্থগিত রাখবে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঐতিহাসিক কূটনৈতিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। এই চুক্তি এমন একটি দলিল যা তিন নেতার সাহসী কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেয় এবং এ অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আরব আমিরাত ও ইসরায়েলকে নতুন পথের দিশা হবে।’ আগামীতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি,

স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন। ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ

বাড়াচ্ছিল। চুক্তির পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হিব্রুতে টুইটবার্তায় বলেন, ‘আজ আমাদের এক ঐতিহাসিক দিন।’ যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বলেছেন, ‘এটি ঐ অঞ্চলে কূটনীতির বিজয়। এর ফলে উত্তেজনা কমবে এবং অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin