মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

ভারতীয় গণমাধ্যমে বিজিবি-কে নিয়ে ভিত্তিহীন খবরের তীব্র প্রতিবাদ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
  • ২৯৮ Time View

ভারত থেকে গরু পাচারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহযোগিতা করছে, ভারতীয় গণমাধ্যমে বিএসএফের দেয়া এমন ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিজিবি। রোববার (১৯ জুলাই) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ভারতীয় বিএসএফের ১৩ জুলাই ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ‘BSF: Border Guard Bangladesh supports cattle smuggling’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আরও পড়ুন: এবার বিজিবির বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দিল বিএসএফ!

সংবাদে ৬ জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া স্বাক্ষরিত হিন্দি ভাষায় লিখিত এক সংবাদ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএসএফ দাবি করছে ভারত থেকে গরু পাচারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।

বিজিবি বলছে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা/তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করে।

ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাংলাদেশে এভাবে গরু পাচার করার কাজে অতি উৎসাহী হয়। এতে করে দেশীয় খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ প্রেক্ষিতে গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে গবাদিপশু চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা, সীমান্তবর্তী জনগণকে সাথে নিয়ে রাত্রিকালীন পাহারা দেওয়া ও সীমান্তে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মূলত গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিএসএফের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্যই ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হতে পারে বলে অনুমেয়। আরও পড়ুন: কসবায় ১২ জনকে পুশইনের চেষ্টায় বিএসএফ, সতর্ক বিজিবি

সংবাদে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এস এস গুলেরিয়ার বিবৃতি দিয়ে এও বলা হয়েছে, প্রাণীগুলোকে পরম যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করা হয়, কিন্তু কোরবানি ঈদের নামে উৎসর্গ করে জবাই করার অর্থ হলো নির্যাতন করা। কথাটি ইসলাম ধর্মের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার জন্য অবমাননাকর এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার সামিল।

মূলত, ঈদুল আজহার দিন মুসলিম বিশ্ব পশু কোরবানির মাধ্যমে কুপ্রবৃত্তি বিসর্জন করে মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করে থাকে এবং গরীব অসহায় মানুষের মাঝে মাংস বিতরণের মাধ্যমে সৌহার্দ্যের উদাহরণ তৈরি করে যা ইসলাম ধর্মে আত্মত্যাগের অন্যতম নিদর্শন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin