সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

অ’তীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ভ’য়ঙ্কর রূপ নিলো আমফান, আতঙ্কে বিজ্ঞানীরা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ৪০৭ Time View

ঘূর্ণিঝড় আমফানের আতঙ্কে যখন কাঁপছে গোটা বাংলাদেশ ও ভা’রতের কয়েকটি রাজ্য তখন এল আশ’ঙ্কার খবর।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, স্ম’রণাতীতকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি সব থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের নাম আমফান। ইতিমধ্যে ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তীব্রতা তৈরি করেছে নতুন নজির। যা দেখে আতঙ্কিত আবহাওয়াবিদরাও।

রোববার দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় আমফান। সোমবার সকালে তা পরিণত হয় সুপার সাইক্লোনে। তার পরও লাগাতার বাড়তে থাকে তার শক্তি। আবহবিদদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়টি বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে ফেলে।

পর্যবেক্ষণ অনুসারে, সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের কেন্দ্রে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার। যা দমকা হাওয়া রূপে ঘণ্টায় ৩৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ছিল ৯০১ মিলিবার।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের শক্তিশালী হয়ে ওঠার জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলে যাবতীয় রসদ মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তা যে এই রূপ ধারণ করতে পারে তেমন আশ’ঙ্কা করেননি প্রায় কেউ।

এর আগে বঙ্গোপসাগরে মাত্র ২টি ঘূর্ণিঝড় আমফানের তীব্রতার কাছাকাছি যেতে পেরেছিল। তার মধ্যে একটি আ’ঘাত হেনেছিল ভা’রতের ওড়িশায়, অন্যটি চট্টগ্রামে।

১৯৯৯ সালের ২৯ অক্টোবর ওড়িশার পুরী ও কেন্দাপাড়া জে’লার মধ্যে উপকূলে আ’ঘাত হেনেছিল সুপার সাইক্লোন। ওই ঝড়ের দাপটে ওড়িশায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছিল। সেই ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। ন্যূনতম বায়ুচাপ ছিল ৯১২ মিলিবার।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টোগ্রামে আ’ঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় মেরি অ্যান। তার ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার। বাতাসের চাপ ছিল ৯১৮ মিলিবার। হিন্দুস্থান টাইমস।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin