হয়ে গেল ‘সা রে গা মা পা’র ফাইনাল অনুষ্ঠান। গেল ২৮শে জুলাই রাতে দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতবিষয়ক এ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ওপার বাংলার উত্তর চব্বিশপরগনার মেয়ে অঙ্কিতা এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন বাংলাদেশের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার এই গানের প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিচারকদের রায়ে যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ এবং মাঈনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম।
এছাড়া ফাইনালে ওঠা আরেক প্রতিযোগী সুমন পেয়েছেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে এ বছরের ২৮শে জুলাই শেষ হলো ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। গত ২৯শে জুন রাতে কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের একটি ছবি পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে দেখা যায়, অঙ্কিতার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার হাতে পাশে দাঁড়িয়ে আছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ।
তাদের পেছনে নোবেল ও প্রীতম। সে সময়েই জানা যায়, এবার ‘সা রে গা মা পা’য় প্রথম হয়েছেন অঙ্কিতা। যৌথভাবে প্রথম রানারআপ গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ আর দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল ও প্রীতম। কিন্তু তা নিয়ে নোবেল কিংবা আয়োজকদের কেউ তখন মুখ খোলেননি।
শেষ পর্যন্ত রোববার রাতে প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বটি প্রচার হওয়ার মধ্য দিয়ে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ফলাফল সঠিক। এবার ‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতায় ভারত থেকে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন নোবেল, অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ মুগ্ধ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা ও মন্টি সিনহা।
বাকিরা বিভিন্ন পর্যায়ে ছিটকে গেলেও নোবেল জায়গা করে নেন চূড়ান্ত পর্বে। পুরো আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র ও মোনালি ঠাকুর। আর উপস্থাপনায় ছিলেন যীশু সেনগুপ্ত।