ভারতের জি-বাংলার সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড ফাইনাল গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শুরু হয়। চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এতে চ্যাম্পিয়ন হলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার মেয়ে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। আর যৌথভাবে ১ম রানারআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ। ২য় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও নোবেল।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার সময় ২য় রানার্সআপ নোবেল এর নাম বলার পর চারিদিক একদম নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নোবেলের যখন রেজাল্ট দিল, উপস্থিত একটা মানুষও হাততালি দেয়নি, বাংলাদেশ এর মানুষ ছিল হাতেগোনা কয়েকজন, বাকিরা সবাই ছিল কলকাতার।
তারাও সবাই হয়তো ভেবে নিয়েছিল নোবেল কিছু একটা ভালো পজিশন ডিজার্ভ করবে। কী পরিমাণ আঘাত পেলে একটা মঞ্চ এভাবে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে আপনারা কেউ কি বলতে পারেন। যেখানে নোবেল নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারেনি ও নিজেও কেপেঁ উঠেছিল নিজের রেজাল্টটি শুনে। কারণ এইরকম রেজাল্ট তো সে ডিজার্ভ করে না।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন অঙ্কিতা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ রুপি ও একটি গাড়ি।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার আগে নোবেল তিনটি গান গেয়ে শুনান। এগুলো হচ্ছে, আইয়ুব বাচ্চুর সেই তুমি, প্রতুল মুখোপাধ্যায়’র, আমি বাংলার গান গাই ও প্রিন্স মাহমুদের কথা-সুরে জেমসের কণ্ঠের ‘বাংলাদেশ’।
এর আগে, গত ২৯ জুন কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে চূড়ান্ত পর্বের দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। এতে ভারতের নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
এই আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল ইসলাম নোবেল। বিভিন্ন ধাপে অন্যান্যরা এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়লেও টিকে ছিলেন নোবেল।
আর এই আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, মোনালি ঠাকুর, শান্তুনু মৈত্র, কৌষিকী চক্রবর্তী ও পণ্ডিত তন্ময় বোস।