বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

আনন্দ-শঙ্কার মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৫৬ Time View

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ছুটির পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলেছে। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্কুল খোলার প্রথম দিনে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই শিক্ষার্থীরা প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে গেটে শিক্ষার্থীদেরকে সাদরে বরণ করেছেন শিক্ষকরা। কোথাও কোথাও ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে নেচে, গেয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে।

আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো কারো পরনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইউনিফর্ম ছিল না। আবার কেউ কেউ ছোট হয়ে যাওয়া ইউনিফর্ম পরেই হাজির হয়েছে। বন্ধুর পরনে এমন আটোসাটো ইউনিফর্ম দেখে অন্য বন্ধুরা হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে গড়িয়ে পড়েছে। প্রথম দিনে শিক্ষকরা পাঠদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনে ক্লাসে উপস্থিতির হার শতভাগ না হলেও বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি গাইডলাইন ও নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেছে। শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরে হাত ধুয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। তাদের শ্রেণি কক্ষে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে অভিভাবকদের জটলা ছিল। নগরীর খাস্তগীর স্কুল, বাওয়া স্কুল ও মহসিন স্কুলসহ বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলগুলোর সামনে জটলার পরিমাণ ছিল বেশি।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন, আমি সকাল থেকে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেছে। তবে স্কুলের সামনে অভিভাবকদের জটলা কাম্য নয়। আমরা অভিভাবকদের অনুরোধ করেছি যেন গেটের সামনে অযথা ভিড় না করেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি সন্তোষজনক বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা পাড়া-মহল্লাভিত্তিক কিন্ডারগার্টেনগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী গতকাল অনুপস্থিত ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত করোনার ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসেনি। এছাড়া করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ার কারণে শহর ছেড়ে চলে যাওয়া পরিবারের সন্তানরাও স্কুলে আসেনি।

চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার পড়ালেখার আগ্রহটা ফিরিয়ে আনাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর পাশাপাশি তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin