বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

একজন তৃতীয় লিঙ্গ উদ্যোক্তার বক্তব্য

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২২২ Time View

বিভিন্ন কাজও শিখছেন। তারপরও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। একজন উদ্যোক্তা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বক্তব্য, ” একটা সময় জীবিকা নির্বাহের জন্য আমি নিজেও কিন্তু মানুষের কাছে হাত পেতেছি so ওইটা অবশ্যই আমার কাছে কখনো সম্মানজনক মনে হয় নাই।রাস্তায় হাত পাতার বদলে আমি ড্রাইভিং এর steering ধরেছি। Automatic কিন্তু তার দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলে আসবে।”

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা কনাম শৈশব কৈশোর কেটেছেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর নির্যাতনের মধ্যে, মালয়েশিয়ায় আট বছর কাটিয়ে দেশে ফিরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ভাগ্য বদলের কাজে নেমেছেন তিনি, তার বক্তব্য, “আমি কিন্তু নিজে খেয়ে না খেয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কিন্তু আমি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে প্রতিদিন এই ড্রাইভিং ক্লাসটা চালাতে হচ্ছে আমাকে। মিনিমাম পার ডে দুই হাজার টাকা গ্যাস সহ খরচ হয়। নিজের টাকায় হিজড়াদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি, তারপরও শঙ্কা কাজ মিলবে তো? আমাকে খুব বেশি সাপোর্ট দেওয়ার তো দরকার নেই আপনারা এটলিস্ট করে এদেরকে চাকরী দেন। দুই একটা মানুষকে যদি আপনারা চাকরি দেন আস্তে আস্তে কিন্তু আরো মানুষ উৎসাহিত হবে। যে না এরা যে না এরা কাজ শিখছে এরা চাকরি পাচ্ছে।

নজরুল ইসলাম ওরফে রিতুম গেল বছরের শেষ দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে চান তিনি। সবারই একই কথা ছিল। যদি আপনি নির্বাচন করেন তাহলে আপনাকে আমরা ভোট দেবো। বর্তমানে এখন চলাচ্ছেন খুব ভালো। জনগণের কাজ করছেন। কোন অসুবিধা নেই ওখানে। এরকম সফলতার গল্প আরো অনেকেরই আছেন। সফল উদ্যোক্তা সিনথিয়াম। তার উদ্যোগেই কয়েক হাজার মানুষের কাজ মিলেছে এখানেও শতাধিক হিজরা কর্মরত। কেউ কেউ beauty parlor করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। বুটিক house সহ নানা কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন।

বর্তমানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, হিজড়া জনগোষ্ঠী যাকে বলা হয় তাদেরকে beauty parlor গরুর ফারাম এবং বাটিক ব্লকের কারখানা সেলুন,যে যেটা করে খেতে চায় তাকে সেটাই দেওয়া হচ্ছে। এর আগে জন সমানিত স্থান পায়নি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা। তবে বর্তমান সরকার হিজরাদের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নথিভুক্ত করেছেন। হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারও এগিয়ে এসেছেন। গত দশ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার বেশি তবে কারো কারো অভিযোগ এসব কর্মসূচির সুফল পাননি তারা। সরকারের করণীয়ঃ সরকারের প্রথম করণীয়, হিজড়াদের নিয়ে একটি ডেটাবেইস বানানো।

এরপর চিহ্নিত করা, কারা আসল হিজড়া আর কারা কৃত্রিম। কৃত্রিম হিজড়াদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। যারা বাস্তবেই জন্মগত হিজড়া। অর্থাৎ বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নর-নারী মিশ্রিত। তাদের আলামত ও পরীক্ষার মাধ্যমে মূল লিঙ্গ পরিচয় উদ্ঘাটন করে সেই পরিচয়ে তাদের পরিচিতি হতে সহায়তা করা। লিঙ্গ পরিচয় উদ্ঘাটনের পর তাদের পড়ালেখা, আবাস ও কর্মস্থল বিনির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এতে একসময় তারা দেশের দক্ষ জনবল হয়ে উঠবে। মানুষ যেন তাদের সহজে চাকরি দিতে পারে-এর জন্য কোম্পানিগুলোর জন্য টেক্স হ্রাস নীতি থাকতে পারে। আরও নানা সরকারি সুবিধা থাকতে পারে।

লেখার ধরণঃ বিশ্লেষণধর্মী

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin