শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

ট্রাফিক সিগন্যালে এআই ক্যামেরা, আইন ভাঙলেই অটো মামলা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৪ Time View

দেশে রাস্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সিগন্যাল সিস্টেম বসানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার গুলশান-২ সিগন্যালে পরীক্ষামূলকভাবে সিটি করপোরেশন এ পদ্ধতি চালু করেছে। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সব ধরনের গাড়ির গতিবিধি। এআই ক্যামেরার মাধ্যমে কতগুলো গাড়ি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে তা দেখা যাচ্ছে।

তথ্য বলছে, গত এক মাসে শুধু এই সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভেঙেছে তিন লাখ গাড়ি।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আইন ভঙ্গের হার বলছে, এ সিস্টেম চালু হলে রাজধানীজুড়ে একদিকে ভয়াবহ যানজট কমবে, অন্যদিকে যত্রতত্র পার্কিং কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার প্রবণতাও কমবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তখন সিগন্যাল সিস্টেমে আসবে।

রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

যানজট কমানো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নিয়েছে এ উদ্যোগ। ডিএনসিসির তথ্য বলছে, গত এক মাস এ এলাকার গাড়ি চলাচল পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পাওয়া গেছে সেটা ভয়াবহ। আইন ভেঙেছে তিন লাখ বাহন। সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ঢাকা শহরে ২০২০ সালে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ২৫৪টি, ২০২১ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৬১টি, ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৮১২টি এবং চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৮৭ হাজার ৩৬২টি।

অর্থাৎ, বিআরটিএর পরিসংখ্যানেই দেখা যায়, প্রতি বছর ঢাকা শহরে হু হু করে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। কিন্তু সেই তুলনায় তৈরি হচ্ছে না নতুন রাস্তা। বিআরটিএর রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও ঢাকা শহর দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে আরও অনেক গাড়ি।

ঢাকার বেশকিছু সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, হাত দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামার সিগন্যাল দেওয়ার পরেও অনেক গাড়ি সিগন্যাল ভেঙে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দৌড়ে গিয়ে মামলা দেন, আবার অনেক সময় চালক পালিয়ে গেলে মামলা দেওয়া সম্ভব হয় না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিগন্যাল মেনটেন্যান্স সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, ইমেজ ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও অন্য সরঞ্জমাদি দিয়ে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এআই-এর আওতায় আনা হবে।

গুলশান-২ নম্বর সিগন্যালে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক মামলা হবে। এ প্রযুক্তির ফলে অনেকেই সচেতন হয়েছেন। এতে ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা কমে আসবে ৯৯ শতাংশ। লালবাতি জ্বলা মাত্র সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন। এই আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও কমে আসবে অনেকাংশে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin