শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের আনন্দচিত্তে শিখতে দিন, প্রশ্ন বা পরীক্ষার মুখোমুখি করবেন না।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি অভিভাবকদের বলেন, আপনাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল থেকে ফিরলে কত নম্বর পেয়েছে তা জিজ্ঞাসা করবেন না বরং জিজ্ঞাসা করুন আজ নতুন কী কী শিখলে?
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অভিভাবকদের নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তারা আমাকে পেলেই জিজ্ঞাসা করেন পরীক্ষাটা কেন তুলে দিলাম। আমি বলি-একটু ধৈর্য ধরুন। আমাদের শিক্ষাজীবন দিয়ে ওদের শিক্ষাজীবনের মূল্যায়ন করবেন না। আমাদের শিক্ষাজীবনের বাস্তবতা আর ওদের বাস্তবতা এক নয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ আসছে। কী করতে হবে সে বিষয়ে ওরা-আমরা কেউ কিছুই জানি না। তাই ওদের সব ক্ষেত্রে প্রায়োগিক শিক্ষায় দক্ষ-যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা যে শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছি তাতে ওরা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠবে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের সন্তানদের পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই।
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ ন্যাশনাল স্টিম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত) অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে। অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর সামনে চমকপ্রদ বক্তব্য দিয়ে নজর কাড়েন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ ও আয়শা জারিয়া।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারাদেশের এক হাজার শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম চলবে। অক্টোবরে সেরা উদ্ভাবক ও প্রতিযোগীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।