জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের সব জায়গায় লোক আছে। জাতীয় নির্বাচনে একক প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনীতি ও সংগঠনকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উম্মুক্ত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘সব স্থানেই নানা অসংগতি। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কথা উঠেছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ খারাপের দিকে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। এসব ঠিকভাবে দেখভাল হচ্ছে না। দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব মন্ত্রণালয়ের হযবরল অবস্থা হয়ে পড়েছে। অব্যবস্থাপনার কারণে মন্ত্রণালয়গুলো অস্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সরকারের উচিত এসব কঠোর নজরদারি করে নিয়ন্ত্রণে আনা।’
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও ব্যবসা-বাণিজ্য লোকসানের দিকে। অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে। বরাবরই সরকারকে এ বিষয়ে খেয়াল করার জন্য আমরা বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। বিদ্যুৎতের দাম বৃদ্ধি করা সরকারের জন্য চরম ব্যর্থতা।’
হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক স্থানেই সু-চিকিৎসা পাচ্ছে মানুষ। কিন্তু সেটি অনেক দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয়বহুল। হাসপাতালে যে চিকিৎসা সাধারণ মানুষকে দেওয়ার কথা সেটিও তারা পাচ্ছে না। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।’
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমজান আলীর সভাপতিত্বে সভায় লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হকসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি তিনদিনের সফরে লালমনিরহাটে যান।