শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতলো কুমিল্লা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২৭৯ Time View

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন লিটন। ইনিংসের প্রথম ওভারে ৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ছক্কা ও দ্বিতীয় বলে চার মারেন লিটন দাস। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা ও শেষ বলে চার মারেন সুনিল নারিন। এই ওভারে ২০ রান দেন তানজিম হাসান সাকিব।

এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে নারিনকে আউট করেন রুবেল হোসেন। দলীয় ২৭ রানে ৫ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নারিন। নারিনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ওভারে শেষ বলে চার মারেন লিটন। এই ওভারে ৮ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই ইমরুল কায়েসকে সাজঘরে ফেরান জর্জ লিন্ডে। দলীয় ৩৪ রানে ৩ বলে ২ রান করে আউট হন কায়েস। কায়েসের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জনসন চার্লস। এই ওভার উইকেট মেডেন নেন লিন্ডে।

এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন লিটন। এই ওভারে ৮ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন লিন্ডে। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন জনসন চার্লস। ওভারের চতুর্থ বলে জনসন চার্লসের ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় রুবেল। এই ওভার থেকে ৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান জনসন চার্লস। এই ওভারে ১২ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। এরপর ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৪ রান দেন লিন্ডে। ইনিংসের নবম ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন লিটন দাস। এই ওভার থেকে ১০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

ইনিংসের দশম ওভারে ১০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন ও জনসন মিলে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন দাস।

তবে দলীয় ১০৪ রানে ৩৯ বলে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। সিলেটকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। এরপর ক্রিজে আসা মইন আলিকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জনসন চার্লস।

শেষ ৫ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৫৭ রান। ইনিংসের ১৬ তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন জনসন চার্লস। এই ওভারে থেকে মাত্র ৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

এরপর ইনিংসের ১৭ তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মইন আলি। এরপর ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান জনসন চার্লস। সেইসঙ্গে ৪১ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন জনসন। শেষ বলে চার মারেন জনসন। এই ওভার থেকে ২৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

জয়ের জন্য ৩ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন হয় কুমিল্লার। ইনিংসের ১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন জনসন। এই ওভার থেকে ৮ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। এরপর ইনিংসের ১৯ তম ওভারে প্রথম ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান জনসন চার্লস। ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন মইন আলি। এই ওভার থেকে ১৮ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩ রান প্রয়োজন হয় কুমিল্লার। শেষ পর্যন্ত ৪ বল হাতে রেখে চতুর্থ শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জনসন চার্লস ৫২ বলে ৭৯ ও মইন আলি ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের পক্ষে ২টি উইকেট নেন রুবাল হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin