ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গাছপালা পড়ে সাময়িকভাবে একাধিক সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে এসব ঘটনা ঘটে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে লক্ষ্মীপুরে। এখনো থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস বইছে। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। এদিকে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরীসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভোলা-বরিশালগামী ৫ শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে। তাদের চররমনী এলাকার মাতাব্বর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোক সংখ্যা তেমন দেখা যায়নি।
এদিকে, উপকূলীয় এলাকায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীরা তৎপর রয়েছে। সিত্রাং মোকাবিলায় নগদ টাকা, শুকনো খবার মজুদ রাখা হয়েছে, ৫টি কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।