শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন

এই প্রথম জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারলো টাইগাররা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ২০৩ Time View

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১০ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ১-২ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজি হারলো সফরকারী বাংলাদেশ।

এর আগের ৬ বার জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু সপ্তমবার এসে আর সিরিজটা নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারলো না বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষটিতে ১০ রানে হেরেছে সফরকারীরা।

 

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হারে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায় ৭ উইকেটের ব্যবধানে। শেষটিতে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা একদম মন্দ হয়নি। তবে রেজিস চাকাভা ও ক্রেইগ আরভিনের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান চাকাভা।

এরপর এক ওভারেই জোড়া সাফল্য পেয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলেন মেহেদি হাসান। প্রথমে ৮ বলে ৫ রান করা ওয়েসলি মাদাভিরাকে বোল্ড করেন দারুণ এক বলে। এরপর সিকান্দার রাজাকে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে।

৮ বলে ২ রান করে আউট হন শেন উইলিয়ামসও। বাজে শটে মোসাদ্দেকের বলে এই ব্যাটার ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। অনেক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও সুবিধা করতে পারেননি খুব একটা। ২৭ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের প্রথম বলেই।

তার বিদায়ের পরই যেন পথ খুঁজে পায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। নাসুমের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে চড়াও হন রায়ান বার্ল। ৫ ছক্কার সঙ্গে ১ চারে নাসুমের ওই ওভারে তিনি নেন ৩৪ রান। এরপরও নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন বার্ল, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন লুক জঙ্গে।

বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। শেষ অবধি দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৯ রান। ২০ বলে ৩৫ রান করা লুক জঙ্গেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এরপর ভয়ঙ্কর হওয়া বার্লকেও আউট করেন এই তরুণ পেসার।

তার বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৪ রান করেন বার্ল। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

জিম্বাবুয়েরর দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশকে প্রথম আঘাত করেন ভিক্টোর নিউয়াচি। ৬ বলে ১৩ রান করে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান লিটন দাস। নিজের পরের ওভারে এসেও দ্বিতীয় সাফল্য পান নিউয়াচি। ৬ বলে ২ রান করে মিল্টন সাম্বার হাতে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন।

এনামুল হক বিজয় আগের দুই ম্যাচের মতোই ব্যর্থ হয়েছেন শেষটিতে। ১৩ বলে ১৪ রান করে মাদাভিরার নিচু হওয়া বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরে যান ২০ বলে ১৬ রান করে।

ক্রিজে টিকে ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুরুতে বিশ্রাম দেওয়া হলেও নুরুল হাসান সোহানের চোটে শেষ ম্যাচের একাদশে সুযোগ পান তিনি। তার নিজের জন্যও মঞ্চ প্রস্তুত ছিল ফর্মে ফেরার। কিন্তু পারেননি এই ব্যাটার। ২৭ বলে ২৭ রান করে রেজিস চাকাভার বলে ব্রেড ইভান্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়েছেন রিয়াদ।

ঠিক তার পরের বলেই চাকাভা আউট করেন মোসাদ্দেক হোসেনকে। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান শেষ ম্যাচের অধিনায়ক। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় জিম্বাবুয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেন চাকাভা।

সেখান থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ও মেহেদি হাসান। দুজনের জুটিতে আসে ৩৪ রান। কিন্তু দলকে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি কেউই। নিউয়াচির ফুলটস বলে মারতে গিয়ে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি। ২৭ বলে ৩৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি আফিফ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ভিক্টর নাইয়ুচি নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন ব্রাড ইভান্স। ১টি করে উইকেট নেন ওয়েসলি মাধভিরে, শন উইলিয়ামস এবং লুক জংউই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin