বিয়ে করার সিদ্ধান্ত একান্ত ব্যক্তিগত। বয়স বিশ হওয়ার পর পরই বিয়ে নিয়ে ছেলেদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হতে শুরু করে। আর ২৫/২৬ এর পর কেউ বলে বিয়ের বয়স হয়ে গেল, বেশি দেরি করলে পেরিয়ে যাবে বয়স। আবার কারও মতে বিয়ের আদৌ নির্দিষ্ট কোনো বয়স হয় না। এ নিয়ে বাহাস চলছে, চলবেও।
কেউ বিয়ে করেন ২৫-এ। আবার দেখা যায় ৪০ পেরিয়ে গেলেও মনের মতো সঙ্গী না পেয়ে অবিবাহিত থেকে যান অনেকেই। বিশেষ করে এ প্রজন্মের অধিকাংশেই কর্মজীবন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে বিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা করার অবকাশ মেলে না। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ওঠে এসেছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে পুরুষেরা পেতে পারেন দীর্ঘায়ু।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা এমনই তথ্য দিয়েছে। আমেরিকার বাসিন্দা প্রায় ১ লক্ষ বিবাহিত পুরুষের মধ্যে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই এমন বিবাহিত পুরুষেরাও সুস্থ-সবল আছেন। ৮০ পার করেছে এমন কয়েকজনও যথেষ্ট সুস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। তারা প্রত্যেকেই ২৫-২৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। বিয়ে মানে নতুন জীবন, বড় দায়িত্ব।
হার্ভার্ডের গবেষকরা বলছেন, সে দায়িত্ব ভার তরুণ থাকাকালীন নিলে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কম থাকে। তারুণ্যের উদ্যম নিয়ে নতুন জীবন শুরু করা যায়। এ বয়সে বিভিন্ন চিন্তা এসে মাথায় ততটাও ভিড় করতে শুরু করে না। মানে জীবনের জটিলতা অপেক্ষাকৃত কম থাকে। গবেষকরদের মতে, বিয়ের মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বয়স কম থাকতেই সেরে ফেলা ভালো। এতে মন ও মাথায় বাড়তি চাপ পড়ে না। ফলে মানসিক চাপ মুক্ত থাকলে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।