হয়তো শুনে থাকতে পারেন কিন্তু নিশ্বাসে যে দুর্গন্ধও থাকতে পারে সে বিষয়টি অনেকেই কেন যেনো বুঝতে পারেন না। তাই নিশ্বাসে দুর্গন্ধের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। না হলে মুখের দুর্গন্ধ আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।
মুখের গন্ধ যাতে পাশের জনের কাছে না পৌঁছায়, তার জন্য অধিকাংশই মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকেন। তবে এটা কিন্তু কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। মুখের দুর্গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি পেতে কী কী করবেন জেনে নিন।
তামাক এড়িয়ে চলুন: ধূমপানে নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়ে। তামাক মুখের ভেতরটা শুকিয়ে দেয় এবং যার ফলে মুখ থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হয়। এটা দাঁত ব্রাশ করার পরেও থাকতে পারে। তাই তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
মুখে থাকুক লবঙ্গ বা মৌরি: কারো যদি নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হয় তাহলে জিভও নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। পাশাপাশি মুখে লবঙ্গ বা মৌরি রাখুন। এতে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা কমবে।
পানি পান করুন: সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানি শুধু গরমকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে না মুখের ভেতরটাও ভেজা রাখে। কারণ মুখের ভেতর শুকিয়ে গেলেই তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা এড়াতে পারমিাণমতো পানি পান করুন। পানি খেলে মুখে কোনো খাবারের কণা বা টুকরা থাকলে, পানির সঙ্গে সেটাও বেরিয়ে যাবে।
গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন: গ্রিন টিতে রয়েছে এমন উপাদান, যা বেশ খানিকটা সময় নিশ্বাসের দুর্গন্ধকে প্রতিহত করতে পারে। গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধি পায়না।
ফ্লস ব্যবহার করবেন: ব্রাশও অনেক সময় যে সমস্ত খাবারের কণা দাঁত থেকে বার করতে পারে না, তা ফ্লস দিয়ে করা সম্ভব। ফলে এটা ব্যবহার করলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।