পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার হিসেবে ক্রমেই বাড়ছে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা। সালিভা হিস্পানিকা নামক উদ্ভিদ থেকে এই বীজ পাওয়া যায়। খাবার ‘বেক’ করার সময় অনেকে এখন ডিমের বদলে এই বীজ ব্যবহার করেন। পুডিং ও সালাদের সঙ্গেও এই বীজ খান কেউ কেউ। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে চিয়া বীজ খেতে হবে পানিতে ভিজিয়ে। কী কী উপকার হয় এই বীজ খেলে, জেনে নেওয়া যাক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক এক প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করা হয়।
প্রদাহ কমাতে: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্যাফেইক অ্যাসিড’ নামক অপর এক প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি অক্সিড্যান্টটি প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ উপযোগী।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে: চিয়া বীজ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামক এক প্রকার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্ন: চিয়া বীজে এমন কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেগুলো ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি পানিতে ভিজিয়ে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমে। ফলে শুষ্ক হয় না ত্বক।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসতে পারে চিয়া বীজ।
তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই সব খাবার সবার সহ্য নাও হতে পারে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিয়া বীজ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। তাই নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।