বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জানা গেছে, ২০২১ সালের শেষ মাসে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমান ১৬২ কোটি ৯০ লাখ (১.৬২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার, যা এর আগের মাসের (নভেম্বর) তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি।
যদিও মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ ও নানা সংকটের কারণে গত বছরের টানা ছয় মাস আয় কমেছে প্রবাসীদের। তারপরও সদ্য সমাপ্ত বছরে বাংলাদেশে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা ২০২১ সালে দুই হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগে কোনো বছর এত বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। যদিও একক বছরে রেমিট্যান্স বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকার বেশি; (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা ধরে)। যা ইতিহাসে একক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তি।
এর আগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে এক হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। এদিকে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার থেকে এটি কার্যকর করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদেশে থাকা কোনো বাংলাদেশি কেউ ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে দুই টাকা ৫০ পয়সা যোগ হয়ে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাবে তার স্বজনরা। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের শীর্ষ খাতের একটি হলো এক কোটির বেশি প্রবাসীর পাঠানো অর্থ। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতেই নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।