ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিন্ন পরিচয়পত্র প্রদানের প্রকল্প নেয়া হয়েছে অনেক আগেই। করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে স্থবির ছিলো এ কার্যক্রম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আগামী বছরের শুরুতেই ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে অভিন্ন পরিচয়পত্র (ইউনিক আইডি) দেয়া হবে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউনিক আইডিতে ধর্মীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রে অপশন ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য উল্লেখ করার পাশাপাশি ‘নট এ বিলিভার’ ও ‘রিফিউজ টু ডিসক্লোজ’ অপশন রাখা হয়েছে। এছাড়া জেন্ডার সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ইতোপূর্বে ‘লিঙ্গ’ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও এবার ‘জেন্ডার’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এবং অপশন হিসেবে পুরুষ ও নারীর পাশাপাশি ‘অন্যান্য’ যুক্ত করা হয়েছে। ইউনিক আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর যুক্ত থাকবে। পরে ডেটাবেসে যুক্ত এসব তথ্য ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না।
ইউনিক আইডির জন্য কাজ করছে তিনটি সংস্থা:
শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি নিয়ে কাজ করছে সরকারের তিনটি সংস্থা। সংস্থা তিনটি হলো নির্বাচন কমিশনের এনআইডি, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (ওআরজি) এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কিছু কারিগরি ত্রুটি রয়ে গেছে। এই সমস্যা না থাকলে যে সিস্টেম ডেভোলপ করা হয়েছে তাতে ডাটা এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ইউআইডি পেয়ে যেতো। ইউনিক আইডি সরবরাহ করবে এনআইডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি ও সমন্বয়হীনতার কারণে এ কাজে সময় লাগছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শামছুল আলম বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সমস্যাটির দ্রুত সমাধান হলে ডিসেম্বরেও শিক্ষার্থীদের ইউআইডি দেয়া যেতো। তবে আমরা আশা করছি সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে তা তুলে দেয়া হবে।