বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকে ব্যাহত করার জন্যই আইপি টিভির বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র।জিবাংলা টিভির-এমডি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৮২৭ Time View

আইপি টিভি নিয়ে এক শ্রেণীর প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। জানিনা তারা কতটা সফল হবেন। আইপি টিভিকে ফেসবুক, ইউটিউব টিভি বলে গুজব রটাচ্ছে। আপনারা জানেন কি ডিজিটিাল যুগে আইপি টিভির বিকল্প নেই। এক সময় আইপি টিভিগুলোই হবে দেশের প্রধান গণমাধ্যম।

আধুনিক বিশ্বে আইপি টিভির গুরুত্ব বাড়ছে। আইপি টিভিকে বলা হয় (ইন্টারনেট প্রোটোকল টিভি? আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি মোটামোটি সবাই IP (Internet Protocol) কিন্তু এটা সম্পর্কে হয়তো এখনো অনেকেই জানিনা। যেমন, IP কি? আমরা কেন IP Address ব্যবহার করি? চলুন জেনে নিই IP (Internet Protocol) সম্পর্কে।

হাতের মুঠোয় টিভি। মোবাইলে যখন যেখানে খুশি, সেখানে বসেই দেখতে পারেন। ইচ্ছা হলে বাড়ির টিভিতেও তার সংযোগ নিতে পারেন। এর জন্য কোনো স্যাটেলাইট পদ্ধতির দরকার নেই! আধুনিক বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই টিভির প্রচলন শুরু হয়েছে। যাকে বলা হয় ইন্টারনেট প্রোটোকল টেলিভিশন বা আইপি টিভি। বিগত কয়েক দিন ধরে আইপি টিভিগুলো নিয়ে সরগরম প্রচারপ্রচারণা চালাচ্ছেন কিছু গণমাধ্যম। রীতিমত ভালো চোখে দেখতে না তারা।

সরকার চাইলে আইপি টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে পারেন। আবার রাখতেও পারেন এটা সরকারের এখতিয়ার। সরকার ২০১৯ সালে অনলাইন টিভি ও আইপি টিভির জন্য দরখাস্ত আহবান করেছিলেন। তখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ৫ শতাধিকের মতো আইপি টিভির দরখাস্ত জমা পড়ে। মন্ত্রনালয়ের যাচাই বাচাই প্রক্রিয়াধীণ।

কিছু আইপি টিভি সরকারের চোখে ফাকি দিয়ে বিদেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্প্রচার করে নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের নজরদারীতে রয়েছে। এমনকি আইনসৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান।

এদের দায়ভার কি মূলধারার আইপি টিভিগুলো নিবে? কখনো এদের দায়ভার আমরা নিতে পারিনা। আইপি টিভির নীতিমালা এখনো হয়নি। আইপি টিভি বৈধও না আবার অবৈধও নয়। আইপি টিভিগুলো সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় চাইলে মুহুর্তেই সব আইপি টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আইপি টিভি অনুমোদন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

আইপি টিভিগুলো তৃনমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছে। আগে দেখতাম প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত মানুষ চাইলেই ইউনিয়ন পর্যায়ে কালভার্ট, ব্রীজ নির্মাণ, সড়কের বেহাল দশা  ইত্যাদি সংবাদ সহজেই প্রচার করতে পারতেন না। ইউনিয়ন পযায়ে উন্নয়নের চিত্রগুলো এখানেই সিমাবদ্ধ থাকতো। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযক্তি ব্যবহার করে আইপি টিভিগুলো সরকারের ডিজিটাল গণমাধ্যম হিসেবে গ্রামের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সহজেই তুলে ধরছেন। কাজেই মূলধারার আইপি টিভিগুলোকে সরকার অচিরেই নিবন্ধনের আওতায় আনবেন, ইনশাআল্লাহ।

আইপি টিভির বিরুদ্ধে অযথা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না্। আইপি টিভিতে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরছেন। কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কেউ কখনো সফল হতে পারেনি। অচিরেই আইপি টিভি গুলো বাণিজ্যিক সম্প্রচারে যাবে সরকার অনুমতি দিলে। তখনতো আপনারা কিছু বলতে পারবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin