শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা-মননের প্রধান প্রতিভূ : রাষ্ট্রপতি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ২৫৪ Time View

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিভূ। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত স্রষ্টা, চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং দার্শনিক হিসেবেও বিখ্যাত। সর্বোপরি বাঙালি জাতীয়তাবোধের প্রধান রূপকারও তিনি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন ১৯১৩ সালে, গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে। তিনিই প্রথম অ-ইউরোপীয় হিসেবে বিশ্বসাহিত্যের এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস ও ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভাববাদী চেতনার সমন্বয় সাধন করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন।’

শনিবার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তার অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’

তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। পূর্ববঙ্গ তার শিল্পীসত্তা, মানবসত্তা এবং ঐক্য ও সম্প্রীতির আভায় সমুজ্জ্বল। ফলে সাধারণ বাঙালির দুঃখ-বেদনার কথক হিসেবে যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা পেয়েছি, তা পূর্ববঙ্গেরই সৃষ্টি। এসবের পাশাপাশি মানুষের প্রত্যক্ষ কল্যাণ কামনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে ভেবেছেন। শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তিনিকেতন। সেই সঙ্গে তিনি পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার ক্ষেত্রে চিরকাল বিশ্বের জানালাকে খুলে দেয়ার কথা বলেছেন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, রবীন্দ্রনাথের বিশালতা এবং তার সৃষ্টির অপূর্ব মাধুর্যকে অন্তরাত্মা দিয়ে উপলব্ধি করতে হলে রবীন্দ্র চর্চার বিকল্প নেই। আমি আশা করবো জগৎ-সংসারকে গভীরভাবে জানতে তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্র সাহিত্যে অবগাহন করবে, রবীন্দ্র চর্চায় থাকবে ব্যাপৃত- যা কেবল আচার সর্বস্ব নয়, জীবন সর্বস্ব। রবীন্দ্র চেতনার আলোকে সাম্য ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হোক- এ কামনা করি।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin