শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

বরিশালগামী লঞ্চের কেবিনে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা!

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৬৮ Time View

ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ নামের একটি লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার পর মধ্য বয়সী (৪৫-৪০) ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল

কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পারাবত-১১ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। সোমবার ভোরে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করলে সকলে নেমে যায়। পরে লঞ্চের স্টাফরা কেবিন চেক করতে যায়।

তখন ৩৯১ নম্বর কেবিনে নারী যাত্রীর মরদেহ দেখতে পায় তারা। এরপর পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। লঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, ওই কেবিনটি একজন পুরুষের নামে নেয়া ছিল। আর কেবিনের টিকিটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে সেটি কুমিল্লার লাকসামে অবস্থানরত এক ব্যক্তি রিসিভ করেন।

ফলে ভুয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে কেবিনটি নেয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল

মহানগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান। পারাবত লঞ্চ কোম্পানির বরিশাল ঘাট সুপারভাইজার মো. সেলিম জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সাথে নিয়ে পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠে।

লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেওয়া হয় কামরুল। আজ ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি নিহত নারীর ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না নিয়ে দ্রুত নেমে যায়। তার মুখমণ্ডলে মাস্ক ছিল। অন্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরও কেবিনে থাকা নারী না নামায় কেবিন স্টাফরা

তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করছেন পারাবত-১১ লঞ্চের মাস্টার মো. শামীম। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সিআইডি’র ক্রাইম সিন বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে

এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। বরিশাল সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আল-মামুনুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিয়ে গেছে। বরিশাল মহানগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের

অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান জানান, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন পুরুষ ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ

করে বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার এসি মো. রাসেল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin