বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করে বলেছেন, ২৬ মার্চ কেউ তো প্রশ্ন করেননি ‘হু ইজ জিয়া’ সে কে স্বাধীনতা যুদ্বের ঘোষণা দেয়ার? সেদিন তো আনন্দে উৎফুল্ল হয়েছিল। তিনি বলেন, মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে রাজপথে নামতে পারলেই গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপির আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আদালতের উদ্দেশে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে আদালতে কোন রায়ে বা ঘোষণায় স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদালত কতৃক স্বীকৃত না। যুদ্ধ করে, লড়াই করে, রক্ত দিয়ে, সন্তান দিয়ে, মা-বোনের ইজ্জত দিয়ে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই স্বাধীনতা আমাদের প্রাপ্তি না, এই স্বাধীনতা আমাদের অর্জন। ইতিহাস সঠিক না বেঠিক সেটা কোনো মতেই আদালতের বিষয় না। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ শহীদ জিয়াউর রহমান যখন রিভল্ট করে কর্নেল জানজুয়াকে নিজ হাতে হত্যা করে বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ড তার নিজ হাতে নিয়ে নিলেন এবং জনসম্মুখে
স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তখন তার পরিচয় কী? মেজর জিয়া; কই সেদিন তো প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও বড় বড় নেতারা চ্যালেঞ্জ করেন নাই ‘হু ইজ জিয়া’। সে কে স্বাধীনতা যুদ্বের ঘোষণা দেয়ার? সেদিন তো আনন্দে উৎফুল্ল হয়েছিল— রাস্তা পেলাম, দিক-নির্দেশনা পেলাম। তার প্রমাণ এপ্রিলের ১৭ তারিখ মুজিবনগরের গঠিত অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী
তাজ উদ্দিন আহমেদ সাহেবকে বিদেশি সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করলেন তখন স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি বলেন, মেজর জিয়া ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধ চলছে, আমরা জনগণের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। তাই বলব জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসে রাখবেন কি রাখবেন না সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু জিয়াউর রহমান তো ইতিহাস
সৃষ্টি করে গেছেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।