জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ননদ ও ভাবি বাথ’রু’মে গো’স’ল করার সময় এনামুল নামের এক বখাটে ভি’ডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে ওই ত’রু’ণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
আর লোক-লজ্জায় ভাবি ঢাকায় চলে যান বলে স্থানীয়রা জানায়। এ দিকে গো’স’লের ভি’ডিও ফেসবুকে দেয়ার ৫ দিন পর সালিশিতে এনামুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন স্থানীয় মাতবররা।
সে জরিমানার টাকাও বাকি রয়েছে। জানা গেছে, গৃহবধূ ও তার ননদ মাদ্রাসাছাত্রী নিজের বাড়ির বাথরুমে গোসল করছিলেন। পাশের বাড়ির বখে যাওয়া এনামুল হক তার মোবাইলে ভিডিও করে। বিষয়টি জানাজানি হয়।
এনামুলের করা ভি’ডিওটি অন্য একটি ফেসবুকে আপলোড করে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি ভা’ই’রাল হয়। সানন্দবাড়ী চর আমখাওয়া ইউনিয়নের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম জানান, মেম্বার হিসেবে আমার সভাপতিত্বেই সালিশি হয়।
এনামুল ও তার এক সহযোগী গোসলের দৃশ্য ভিডিও করে এবং মুস্তাকিম বিল্লাহ ভি’ডিও’টি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। স্থানীয় দেওয়ানীদের জরিবোর্ড এনামুলকে ১ লাখ টাকা জ’রি’মানা করা হয়। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, ঘটনাটি সত্য।
ভিডিওকারীর সহযোগী এবং ফেসবুকে যে দিয়েছে সবার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। চর আমখাওয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সামা আকন্দ জানান, সালিশে এনামুলকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। তাও বাকি। তরুণী ও গৃহবধূর পরিবারটি গরিব অসহায়।
তারা থা’নায় অ’ভিযোগ করতে চাইলে এনামুলের পরিবারের লোকজন থানায় যেতে দেয়নি। তরুণীর বড় ভগ্নীপতি জানান, এনামুলের সঙ্গে তার শ্যালিকার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন সিরাজুল মেম্বার। স্থানীয় লোকজন জানান, তরুণীর সঙ্গে এনামুলের বিয়ে হলে গৃহবধূ দুই সন্তানের জননীর কি হবে।
লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবধূ ঢাকায় চলে গেছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন। রোববার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল রাকিবুল হাসান রাসেল এবং মডেল থানার ওসি এমএম ময়নুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।