ক’রোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল রোববার থেকে হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমতি দিয়েছে স’রকার।ধর্মবি’ষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ত’থ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক কো’ভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স’ঙ্গে হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আবেদনের বি’ষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে শুধুমাত্র হাফিজিয়া মাদ্রাসা বা হিজফখানার কার্যক্রম ১২ জুলাই থেকে চালু করার অনুমতি প্রদান করা হল।
নিজের বাবার করোনা নিয়েও প্রতারণা করেছিলেন সাহেদ!
দেশজুড়ে আ’লোচিত রিজেন্ট হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ গ্রে’প্তার এড়াতে আত্মগো’পনে আছেন। নানা শ্রেণিপেশার মানুষের স’ঙ্গে প্র’তারণা করা এই সাহেদ প্র’তারণা করেছেন বাবার অ’সুস্থতা নিয়েও। করো’না আ’ক্রান্ত বাবাকে নেগেটিভ সনদ দেখিয়ে ভর্তি করান একটি বেস’রকারি হাসপাতা’লে।
জানা গেছে, শুরুতে বাবার খোঁজ নিলেও রিজেন্ট হাসপাতা’লে অ’ভিযানের পর সিলগালা করে দেয়ার পর আর বাবার খোঁজ নেয়নি সাহেদ। শুধু তাই নয়, খোঁজ নেননি মা’রা যাওয়ার পরও। পরে অবশ্য তার ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার ও গাড়ি চালককে পাঠিয়ে বাবার ম’রদে’হ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাবা সিরাজুল করিমকে ভর্তি করাতে গিয়ে সাহেদের প্র’তারণার কথা নিশ্চিত করেছেন মহাখালীর ইউনিভা’র্সেল মেডিকেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমা’র চ’ক্রবর্তী। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গত ৪ জুলাই সিরাজুল করিমকে তাদের হাসপাতা’লে ভর্তি করেন সাহেদ। সিরাজুল করিমের ব’য়স ছিল প্রায় ৭০ বছর। ভর্তি করার সময় সাহেদ জানান তার বাবার কো’ভিড-১৯ সং’ক্র’মণ নেই।
বাবার করো’না পরীক্ষার ভু’য়া প্রতিবেদন দেয়ার কথা জানিয়ে ডা. আশীষ জানান, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, এর আগে তিনটি পরীক্ষায় সিরাজুল করিমের কো’ভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। তিনটি সনদও দেখানো হয়। কিন্তু তার লক্ষণ দেখেই মনে হয়েছে কো’ভিড-১৯ আ’ক্রান্ত। আমাদের এখানে পরীক্ষায় তার কো’ভিড-১৯ পজিটিভ আসে।’
হাসপাতালটির চিকিৎসক আজিজুর রহমান জানান, সাহেদের বাবার করো’না পজেটিভ আসলে তাকে আম’রা ফোন দেই। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু আপনার হাসপাতাল কো’ভিড রো’গীদের জন্য সেখানে আপনার বাবাকে নিয়ে যান। কিন্তু সাহেদ অ’পারগতা প্রকাশ করেন। বলেন তার ওখানে চিকিৎসার পর্যা’প্ত ব্যবস্থা নেই। ভর্তির দুই দিন পর সিরাজুল করিমকে আইসিইউতে নেওয়া হয় জানিয়ে ডা. আশীষ বলেন, ‘তার ফুসফুসে সং’ক্র’মণ ছিল।
অবস্থা খা’রাপ হলে দুই দিন আগে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মা’রা যান তিনি।’ ভর্তির পর প্রথম দুই দিন সাহেদ তার বাবাকে দেখতে এসেছিলেন। তবে ৬ জুলাইয়ের পর থেকে এখানে তাদের আর কেউ আসেননি বলেও জানান ইউনিভা’র্সেলের এমডি। জানা গেছে, সাহেদ বাবাকে দেখতে আসা বন্ধ করলেও তার স’ঙ্গে আসা লোকজন পরেও হাসাপাতা’লে এসেছে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবা মা’রা যাওয়ার পরে কারো স’ঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ইউনিভা’র্সেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে থা’নায় জি’ডি করে তারা। সাহেদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় পরে তার স্ত্রী’র স’ঙ্গে কথা বলে হাসপাতা’লের লোকজন। পরে শুক্রবার সকালে সাহেদের কেয়ারটেকার এসে লা’শ বুঝে নেয়। সকালেই আজিমপুর কবরস্থানে সাহেদের বাবাকে দাফন করা হয়।
গত ৬ জুলাই র্যা’বের ভ্রাম্যমাণ আ’দালতের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতা’লের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অ’ভিযান চা’লানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করো’নার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের স’ঙ্গে প্র’তারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যা’বের ভ্রাম্যমাণ আ’দালত অন্তত ছয় হাজার ভু’য়া করো’না পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।
একদিন পর গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র্যা’ব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূ’ল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বি’রুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থা’নায় নিয়মিত মা’মলা করা হয়েছে। তবে প্রধান আ’সামি সাহেদ এখনও প’লাতক রয়েছে।