চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্র আবির হুসাইনের (১১) মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের গুজবের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকৃত ঘটনা হলো বলাৎকারের পর তা ধামাচাপা দিতেই গলাকেটে হত্যা করে কেটে ফেলা মাথা গুম করা হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলার আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগান থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। আবির হুসাইনের বাবার নাম মোহাম্মদ আলী হোসেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। আলী হোসেন গত মাসে আবিরকে কয়রাডাঙ্গা নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় ভর্তি করে দেন।
মাদরাসার মুহতামিম মো. আবু হানেফ বলেন, মঙ্গলবার এশার নামাজের পর থেকে আবিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে অনেক খোঁজা হয়। সকালে আমবাগানে মাথাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানায়। আমরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি। এরপর বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
মাদরাসায় ৭১ জন ছাত্র ছিল। এই ঘটনার পরে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চলে গেছেন, বলেন আবু হানেফ।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তে বলাৎকারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যার পরে গুজব কাজে লাগাতে মাথাকাটা হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে।